দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দামের ঊর্ধগতি রোধ করতে এবার ভারত থেকে ৩৭ দশমিক ৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ৪টি ট্রাকে করে কাঁচামরিচের এ চালান আসে।
ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আর জে ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সিমু এন্টারপ্রাইজ, সেঞ্চুরি প্লাস ও রাজ এন্টারপ্রাইজ এসব মরিচ আমদানি করে।
আমদানি করা কাঁচামরিচ ছাড়করণের দায়িত্বে থাকা মো. আলী জানান, দেশে হঠাৎ করে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। গেল এক সপ্তাহে খুচরা বাজারে ক্রেতাদের কাঁচামরিচ কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা দরে। এ অবস্থায় মরিচের দাম স্বাভাবকি রাখতে মরিচ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীরা ভারতে এলসি খোলেন। তাদের পাঠানো এলসির বিপরীতে বুধবার দুপুরে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। প্রথম দিনেই ৩৭ দশমিক ৩ টন মরিচ এসেছে।
তিনি বলেন, যে কাঁচামরিচ আমদানি হয়ে এসেছে তা প্রতি কেজি মূল্য পড়েছে ৮৫ টাকা। পর্যায়ক্রমে ভারত থেকে আরও কাঁচামরিচ আমদানি করা হবে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে আতিউর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ায় দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে। এতে করে কাঁচামরিচের বাজার দর স্থিতিশীল হবে। এ ছাড়া আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে।
এ বিষয়ে উপসহকারী সংগ নিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার কালবেলাকে বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যে ৩৭ দশমিক ৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছ তা মান পরীক্ষা করে আমরা ছাড়পত্র দিয়েছি।
কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথলো চৌধুরী জানান, পণ্যগুলো বাংলাদেশে আসার পর শুল্ক করাদি আদায় সাপেক্ষে আমরা সেগুলো খালাস দিয়েছি।