শেখ আজমল হুদা, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
আপডেট : ৩১ মে ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

গবাদিপশুর দেখাশোনা করছেন উসামা এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. তায়েব। ছবি : কালবেলা
গবাদিপশুর দেখাশোনা করছেন উসামা এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. তায়েব। ছবি : কালবেলা

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রান্তিক ও বড় খামারিরাও গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় সবুজ ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈল, ছোলা ও ভুসি খাওয়ানোর মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করছেন খামারিরা। এ বছর ভালুকা কোরবানির পশুর চাহিদার থেকে অনেক বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এলাকার চাহিদা মিটিয়েও খামারিরা বাড়তি পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে পশু মোটাতাজাকরণ খামারের সংখ্যা রয়েছে ১০০। ষাঁড় ৪৩৩৫টি, বলদ ২০৫টি, গাভি ৪০০টি, মহিষ ১০০টি, ছাগল ৭,৮১০টি ও ভেড়ার সংখ্যা ১৭৩। আসন্ন কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা রয়েছে ১২,০০০টি। প্রস্তুত করা হচ্ছে ১৩,০২৩টি।

সরেজমিন ভালুকা ইউনিয়ন মেদিলা গ্রামের প্রান্তিক খামারি মো. সাব্বির রায়হান কালবেলাকে বলেন, মেদিলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। পরিবারে অভাব অনটনের জন্য পড়াশোনা করতে পারি নাই। পিডিবি বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে এক হাত হারাই, আমার স্ত্রীকে নিয়ে ছোট খামার তৈরি করি, খামারে ২টি গাভি, ১টি বকনা ও আসন্ন কোরবানির ঈদে শাহীওয়াল ১টি ষাঁড় প্রস্তুত করেছি সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব আশা করছি।

খামারিরা জানান, গো-খাদ্য ও ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গবাদিপশু পালন করে অনেকের লোকসানও গুণতে হবে।

উসামা এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. তায়েব জানান, আমাদের খামারে ১০০ ভাগ প্রাকৃতিকভাবে গরু লালন পালন করে যাচ্ছি। পশুদের খড়, ভুসি, খৈল, সয়াবিনের সঙ্গে সাইলেজ (ভুট্টা গাছের কাটা টুকরা টুকরা অংশ) মিশিয়ে খাবার দেওয়া হয়। খামারে দেশি, গীর, শাহীওয়াল, ব্রাহমাসহ বিভিন্ন জাতের ১৮০টি গরু রয়েছে। তার মধ্যে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৭০টি।

ইতোমধ্যে বড় আকারের ৪৩টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। প্রতিটি গরুর মূল্য সর্বনিম্ন ৮০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা। তা ছাড়া ভেড়া ১৬টি, ছাগল- ৩৩টি ও ১টি তোতাপুরি পাঠা রয়েছে যার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা। উসামা এগ্রো ফার্মটির মালিক উসামা সারোয়ার শখের বশবর্তী হয়ে ২০১৪ সাল থেকে খামারটি শুরু করেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মতিউর রহমান কালবেলাকে জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর ভালুকার চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুগুলো বিক্রি করব আশা করছি। খামারিরা কোনো প্রকার ক্ষতিকারক ওষুধ ছাড়াই গরু মোটাতাজা করে থাকেন। অল্প সময়ে গরু মোটাতাজা করতে যেন কোনো খামারি গরুকে বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ওষুধ যেমন- হরমোন, ডেক্সামিথাসন, ডেকাসন, স্টেরয়েড ইত্যাদি না খাওয়ান আমরা সর্বদাই সচেষ্ট থাকি। খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতিতে পশু লালনপালন করার জন্য তাদের সুপরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কন্যার নাম ‘কুর্দিস্তান’ রেখে ফিলিস্তিনি বাবার বার্তা

সেই দিন রায় ঘোষণার আগে যা বলেছিলেন দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী

মনোমুগ্ধকর জয়া

ওসির সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ, ৩৩ বছর পর ফিরলেন মোবারক

রাশিয়ার ড্রোন হামলা ঠেকানোর মতো সক্ষমতা ইউরোপের নেই : ইইউ

বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার খবর কী

ফ্যান চালালে মাসে কত টাকা বিদ্যুৎ খরচ হয় জেনে নিন

রামপুরায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন

ওএসবি চক্ষু হাসপাতালে কাজের সুযোগ, দ্রুত আবেদন করুন

গাজায় নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুমোদন করল জাতিসংঘ

১০

সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়িতে ভাঙচুর

১১

ঢাকায় শীতের আমেজ, তাপমাত্রা নামল ১৮ ডিগ্রিতে

১২

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৩

স্থানীয় সরকার বিভাগে বড় নিয়োগ, আবেদন যেভাবে

১৪

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৫

১৮ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

মোবাইলে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখবেন যেভাবে

১৭

মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছেন যুবরাজের বাবা!

১৮

রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ

১৯

থানায় ককটেল নিক্ষেপ, ৩ পুলিশ আহত

২০
X