আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০৫:৪৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কোরবানির হাট কাঁপাবে সুমনের ‘টানেল’

কোরবানির হাট কাঁপাবে সুমনের ‘টানেল’। ছবি : কালবেলা
কোরবানির হাট কাঁপাবে সুমনের ‘টানেল’। ছবি : কালবেলা

সারাগায়ে ডোরাকাটা দাগ থাকলেও বঙ্গবন্ধু টানেলের নামানুসারে নাম রাখা হয় ‘টানেল’। আনুমানিক ৬ ফুট উচ্চতার টানেলের দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার খামারি আনসারুল হক সুমনের এলএন এ্যাগ্রো খামারেই বেড়ে উঠেছে টানেল, লাল মানিক, রিমালসহ ১৮ টি বড় সাইজের গরু। যার প্রতিটির দাম পড়বে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক দেশী গরু। পবিত্র কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কোন প্রকার ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন সুমনসহ এখানকার খামারীরা। সবুজ ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈল, ছোলা ও ভুসি খাওয়ানোর মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। পশু বিক্রির সময় ঘনিয়ে আসায়, দিনরাত কাজ করছেন তারা। বেশি লাভের আশায় পরম যত্নে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন খামারিরা। দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায়, ঈদকে সামনে রেখে ছোট-বড় খামারের পাশাপাশি গরু মোটাতাজাকরণ করছেন অনেক কৃষকও।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৫০ হাজার। এছাড়া কোরবানি পশুর বাজার গুলোতে চট্টগ্রাম নগর ও আসপাশের উপজেলা থেকে লোকজন পশু কিনতে আনোয়ারার হাট বাজারে আসে। এসব পশুর চাহিদা মেটাতে উপজেলায় ছোট বড় ৬৩ টি গরুর খামার রয়েছে। এসব খামার থেকে ৩২ হাজার কোরবানি পশু পাওয়া যাবে। এছাড়া কোরবানি উপলক্ষে গরু ব্যাপারীরা আরও ৫০ থেকে ৬০ টি মৌসুমি খামার করে। কৃষকরা বাড়িঘরেও গরু, ছাগল, মহিষ পালন করে। সব মিলিয়ে কোরবানির পশুর কোন সমস্যা হবে না আনোয়ারায়।

খামারিরা জানান, কোরবানিতে ভালো দাম পাওয়ার আশায় এখন থেকে গরুকে ভালোভাবে যত্ন করে যাচ্ছেন তারা। বিগত বছরে লাভের আশায় গরু পালন করলেও, বাজারে ভারতীয় গরু বেশি থাকায় লোকসানের মুখে পড়েন বলে অভিযোগ খামারিদের। তবে এ বছর ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ থাকলে লাভবান হবেন বলে জানান তারা।

বারখাইন ইউনিয়নের খামারি আনসারুল হক সুমন বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে কোরবানির গরু মোটাতাজাকরণ করে আসছি। এবছর গো খাদ্যের দাম বেশি, তাই পশু পালনে খরচও বেশি পড়ছে। আমার খামারে ১৮ টি বড় গরুসহ অর্ধশতাধিক গরু রয়েছে। আমি দেশীয় খাবার ছাড়া অন্য কিছু খাবার দেইনা। প্রতিবছর খামার থেকেই আমার গরু নিয়ে যায় ক্রেতারা। খামারের পাশাপাশি দেশী মুরগী, কবুতর, মাছ, বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগানও রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ নানা কারণে গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে খামারিরা কিছুটা সমস্যায় ছিল। আমরা খামার গুলো নিয়মিত পরিদর্শন করেছি। উপজেলার চাহিদার চেয়েও বেশি পশুর ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য উপজেলায় পাঠানো যাবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাস্থ্য পরামর্শ / রান্নায় সরিষার তেলে ঝুঁকি ও অসংক্রামক রোগ

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ৫৮% মার্কিনি : রয়েটার্স

স্পেনের বাইরে লা লিগার ম্যাচ খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাল ফুটবলাররা

দুবাইয়ে যাওয়ার ৪ মাস পরই ৩ কোটির লটারি জিতলেন প্রবাসী

এনজো ফার্নান্দেজের মুখে রিয়াল মাদ্রিদের নাম, বাড়ছে গুঞ্জন

কেশবপুরে নারী সমাবেশ/ / ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি

সাভারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাসের শুভ উদ্বোধন

তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীও হবেন : এ্যানি

দলবদলের বাজারে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর রেকর্ড ভাঙা খরচ

১০

ধর্মগড় সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক চার বাংলাদেশি

১১

হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে মোদিকে ওয়েইসির প্রশ্ন

১২

জাকসুতে প্যানেল দ্বন্দ্ব, পদত্যাগ করে বাগছাস নেতার মিষ্টি বিতরণ

১৩

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই : বেবিচক চেয়ারম্যান

১৪

‘আ. লীগ বিদ্যুৎ খাতে চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল’

১৫

আ.লীগ নেত্রী রুনু গ্রেপ্তার

১৬

ইসির ইউটিউব চ্যানেল চালু, মিলবে যেসব তথ্য

১৭

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থী

১৮

চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

১৯

ভোলায় পাঁচ দিন ২০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

২০
X