ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৯ নং ওয়ার্ডের ১৪ থেকে ১৭ ফিট প্রশস্ত আমুলিয়া-রাজাখালি সড়কটি ৪৮ ফিটে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের দুপাশের বসতবাড়ি থেকে বিনা অধিগ্রহণে অতিরিক্ত ৩০-৩২ ফিট জায়গা নিতে চাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এতে করে সড়কের দুপাশের অধিবাসীদের বসবাসের বিকল্প ব্যবস্থা এবং জমি অধিগ্রহণ না করে উচ্ছেদ করা হলে ভূমিহীন হয়ে পড়বে অনেক পরিবার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিএসসিসির অঞ্চল-৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা গত ৯ মে সার্ভে করে লাল কালি দিয়ে স্থানীয়দের বসতবাড়ির ভেতর দিয়ে রাস্তার জন্য চিহ্নিত করে গেছেন। এক্ষেত্রে তারা পর্যবেক্ষণ করে সড়কটির দুপাশের ৪৮ ফিট রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেছেন, যা ড্যাপের নকশা বহির্ভূত।
এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর বারবার মেয়রের কাছে লিখিত বা মৌখিক আবেদন করেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না তারা। প্রথমে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমুলিয়া-রাজাখালি সড়কের দুপাশের অতিরিক্ত ৩২ ফিট জায়গা অধিগ্রহণ করে সড়ক উন্নয়নের ৪৮ ফিট প্রশস্তের কাজ করার কথা থাকলেও তা বাস্তবে কিছুই মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে রাজাখালি এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দা মো. ফারুক, বাসেদ মিয়া ও শাহাদাত হোসেন সবুজসহ অনেকেই জানান, সড়কের পাশে আমাদের বাড়িতে কারও পয়েন্ট ৭৫ শতাংশ, কারো ১ কাঠা কারও বা ২ শতাংশ জায়গা রয়েছে। বিনা অধিগ্রহণে সড়কের উন্নয়ন করা হলে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ভিটেমাটিহীন হয়ে পড়তে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা-৫ আসনের এমপি মশিউর রহমান মোল্লা সজল বলেন, অবশ্যই আমি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের পক্ষে। আর ডিএসসিসি পরিকল্পিতভাবে সড়ক উন্নয়নের কাজ করবে। এলাকাবাসীর দাবি আমি ডিএসসিসির মেয়রের কাছে তুলে ধরব।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির অঞ্চল—৫, ৮ ও ৯ আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুর—অর—রশীদ বলেন, রাস্তার জন্য ড্যাপের নকশা অনুযায়ী ডিএসসিসির সর্বশেষ টেন্ডার হয়েছে আমুলিয়া—রাজাখালি ৪৮ ফিট সড়কের। তবে ড্যাপের নকশা বহির্ভূতভাবে বসতবাড়ি থেকে বিনা অধিগ্রহণে রাস্তার জন্য জায়গা নেওয়ার বিষয়টি আমার নয়।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সব দিক বিবেচনা করেই আমুলিয়া-রাজাখালি সড়ক উন্নয়নের কাজ করা হবে। তবে রাস্তার জন্য বসতবাড়ি বা অন্য যে কোনো জায়গা অধিগ্রহণের এখতিয়ার ডিএসসিসির নেই। এক্ষেত্রে ডিএসসিসির সম্পদ বলে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে ভরা ক্ষতিগ্রস্ত এ সড়কের উন্নয়ন করা হবে পরিকল্পিতভাবে। এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন