চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ৩০ মণ ওজনের ব্রাহমা জাতের ষাঁড় ‘কালা চাঁন’। বর্তমানে বিশাল আকৃতির এ ষাঁড়টি সীতাকুণ্ড উপজেলা মধ্যে আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে। কপাল একটি চাঁদের মতো দাগ থাকার কারণে তাই গরুর মালিক লাভলু ষাঁড়টির নামকরণ করেছেন কালা চাঁন। আর এই বিশাল আকৃতির ষাঁড় কালা চাঁনকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।
প্রায় চার বছর তিন মাস ধরে ষাঁড়টি লালন পালন করছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা ভাটিয়ারী ইউনিয়নের পোর্ট লিংক এলাকার যুবক লাভলু। গরুটি ওজনে প্রায় ৩০ মণ হবে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হয়েছে ১২ লাখ টাকা।
গরুর মালিক লাভলু জানান, চার বছর তিন মাস আগে গরুটি কিনেছিলেন। তিনি জানতেন এটি একটি বড় জাতের গরু। এই ষাঁড়টির পাশাপাশি ছিল দুটি করে মহিষ, গাভি, ও গাভি। গরু পালনের পাশাপাশি করতেন একটি চাকরি। তার অনুপস্থিতির পাশাপাশি গরুর দেখাশোনা করতেন তার স্ত্রী। কিন্তু ষাঁড়টি যতই বড় হচ্ছে ততই তাকে নিয়ন্ত্রণ করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একপর্যায়ে ষাঁড়টির দেখভাল করার জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। দৈনিক ষাঁড়টি লালন পালনে খরচ হয় প্রায় সাতশ থেকে আটশ টাকা।
লাভলু আরও জানান, চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর সাংসারিক দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে দুটি গাভি রেখে পর্যায়ক্রমে তিনি দুটি মহিষ ও দুটি গরু বিক্রি করে দেন। তার ইচ্ছা ষাঁড়টি উপযুক্ত দামে বিক্রি করতে পারলে একটি গরুর খামার গড়ে তুলবেন।
এই ষাঁড়টির লালন পালনের জন্য বর্গা রেখেছেন প্রায় এক একর জমি। যেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের ঘাসের চাষ করেন বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় যুবক সাইফুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টি দেখতে খুবই সুন্দর। তিনি এই ষাঁড়টি লালন পালন করতে গিয়ে চাকরি ছাড়েন, বিক্রি করে দেন গরু-মহিষও। এই ষাঁড়টি উপযুক্ত দামে বিক্রি করতে পারলে একটি গরুর খামার করার ইচ্ছা আছে তার। আমার জানা মতে সীতাকুণ্ডের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় গরু।
সাইমুর নামে আরেক যুবক বলেন, সে পরিবারের চাইতেও বেশি যত্ন নেন ষাঁড়টির। উপযুক্ত দামে বিক্রি করতে পারলে তার একটি খামার দেওয়ার ইচ্ছা আছে। তার এই আগ্রহ দেখে অনেক বেকার যুবক গবাদিপশুর খামারে আগ্রহী হবে।
মন্তব্য করুন