কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউএনওকে ফুল দেয়নি বলে শিক্ষককে পেটালেন অভিভাবক

কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা
কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় ইউএনওকে ফুল দেয়নি বলে শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১০ জুন) এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে শনিবার বিকেলে কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (৪৪)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার কপালেশ্বর গ্রামের ফাইজ উদ্দিন পালোয়ানের ছেলে। তিনি কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক।

জানা যায়, শনিবার রাত ১১টায় কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি। আমার সামনে শিক্ষককে মারপিট করা হয়েছে।

সভাপতিকে ফুল দেওয়া হয়নি বলে শিক্ষককে মারধর করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সভাপতি হিসেবে আমি ফুল প্রত্যাশা করিনি। তারপরও আমার সামনে অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেন শিক্ষককে মারধর করেছে। পরে আমি দুপক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টা করেও পারিনি। আমি থানা থেকে পুলিশ এনে পরিবেশ শান্ত করেছি।

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. আফজাল হোসাইন জানান, স্কুল অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেন আমাকে বলেছিল ইউএনওর জন্য ফুলের ব্যবস্থা করতে। আমি বলেছি, ইউএনও স্যারকে উপজেলায় ফুল দেওয়া হয়েছে। এরপরও ফুল দিতে চাপ দিলে আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। মিটিংয়ে ইউএনও স্যারের সামনে বিল্লাল হোসেন আমাকে গালাগাল দিলে মোজাম্মেল হক প্রতিবাদ করেন। তখন বিল্লাল হোসেন, সাবেক সভাপতি ও তার লোকজন শিক্ষককে মেরে আহত করে। শিক্ষককে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।

আহত শিক্ষক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, শনিবার দুপুরের পরে বিদ্যালয়ে ইউএনও’র উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং বসে। মিটিংয়ে বিল্লাল হোসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফজাল হোসাইনের প্রতি ক্ষীপ্ত হন। আমি ন্যায় সঙ্গতভাবে তাদের শান্ত হতে বলি। তারা অধিক মাত্রায় ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল আরম্ভ করে। একপর্যায়ে বিল্লাল হোসেন আমার নাকে, মুখেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি আরম্ভ করে। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান বলেন, যারা শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার।

অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেনকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ হয়নি।

এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর মিয়া বলেন, কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবৈধ ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার নিয়ে ডিএনসিসির নির্দেশ

জাল কাগজপত্র জমা দিলে ১০ বছরের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি

মৃত্যুর আগে ১১ জনকে দায়ী করে বিএনপি নেতার ভিডিও বার্তা

মিরপুর টেস্টে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বিসিবির বিশেষ সুবিধা

আইসিসি থেকে দুঃসংবাদ পেলেন বাবর

কারাবন্দি সাবেক মেয়র আইভী আরও ৫ মামলায় গ্রেপ্তার

মাদুরোর সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী ট্রাম্প, সেনা মোতায়েনেরও সম্ভাবনা

মর্টার শেলের আঘাতে কেঁপে উঠল পুরো এলাকা

ফের ঢাকায় আসছেন আতিফ আসলাম

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

১০

আকর্ষণীয় দাড়ি চাইলে প্রয়োজন বাড়তি যত্নের, রইল টিপস

১১

নির্বাচন কবে, জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত সংখ্যা প্রকাশ

১৩

রাতে বিদেশযাত্রার অনুমতি চাইলেন স্বামী, সকালে না ফেরার দেশে

১৪

পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের মিছিল, এসআই ক্লোজড

১৫

‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরেক নেতা

১৬

পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা বাড়ছে, সেনাবাহিনী কেন লক্ষ্যবস্তু?

১৭

‘শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে’

১৮

‘ছেলের কথা শুনতে পারলে কলিজাটায় শান্তি লাগতো’

১৯

প্রচণ্ড মাথাব্যথা? দূর করবেন যেভাবে

২০
X