রাত পোহালেই সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়াও উদযাপিত হবে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে ঘরে ঘরে চলছে ঈদ প্রস্তুতি। তবে প্রতীক্ষিত এই আয়োজনে বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি, কোরবানির কার্যক্রমে হতে পারে বাধাগ্রস্ত, এমন শঙ্কায় রয়েছে উপজেলাবাসী। এতে পশু জবাই ও মাংস কাটাকুটিতে ঘটতে পারে ব্যাঘাত। পোহাতে হতে পারে ভোগান্তি।
আষাঢ়ের প্রথম দিকের এই সময়টাতে কোথাও কোথাও হচ্ছে হালকা থেকে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরও জানাচ্ছেন বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা। সবমিলিয়ে ঈদের দিনের আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কিত মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা।
রোববার (১৬ জুন) বিকেলে আকাশে কালো মেঘ জমতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার দিকে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি পড়তেও দেখা গেছে।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেনর সঙ্গে। তিনি কালবেলাকে বলেন, আকাশটা ভারি হয়ে আছে। বিকেলের দিকে আকাশে কালো ও ঘন মেঘ জমতে দেখা গেছে। যদি ঈদের দিন বৃষ্টি থাকে তাহলে কোরবানির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। পশু জবাই ও মাংস কাটাকুটি নিয়ে আমাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
কথা হয় আরেক স্থানীয় বাসিন্দা ফখরুল আলম মিথুনের সঙ্গে। তিনি কালবেলাকে বলেন, ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি। ঈদের দিন বৃষ্টি হলে ঈদটাই পানসে হয়ে যায়। ঈদের নামাজ ও পশু কাটাকুটি বাধাগ্রস্ত হয়। বৃষ্টি না হলে ঈদ উৎসবটা ভালোমতো উদযাপন করতে পারবো।
স্থানীয় বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আমীর হোসেন কালবেলাকে বলেন, অতীতে অনেক কোরবানির ঈদে বৃষ্টি হতে দেখেছি। এতে ঈদ উদযাপন ব্যাহত হয়। এবারও ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নাকি রয়েছে। ঈদের দিন বৃষ্টি হলে ঈদ আনন্দ ম্লান হতে পারে। এ ছাড়াও পশু জবাই মাংস কাটাকুটির কাজে ব্যাঘাত ঘটবে।
মন্তব্য করুন