প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলার আদালত ভবনের সাথে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে অনেক জেলায় ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিচারপ্রার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকারি স্থাপনা ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করলাম। এখানে নারী-পুরুষসহ সব বয়সী বিচারপ্রার্থীরা সবধরনের, সুযোগ-সুবিধা পাবেন। পুরুষ-মহিলাদের জন্য পৃথক ওয়াশরুম সুবিধা রয়েছে। মহিলারা তাদের শিশুকে পৃথক রুমে দুধপান করাতে পারবে। এ ধরনের ন্যায়কুঞ্জ বিচারপ্রার্থীদের কষ্ট লাঘব করবে। মানুষ দ্রুত বিচার পাবে। মামলার জট কমবে। বিচারকরাও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারবে। এজন্য বিচারপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (সিনিয়র জেলা জজ) মুন্সী মশিয়ার রহমান, সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) মো. সাইফুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৯ জুন ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার। ১ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই ভবনে বিচারপ্রার্থীদের বসার ব্যবস্থাসহ ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেট এবং মুদিখানা দোকানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ডিপিপি মূল্যের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল মুক্তা কনস্ট্রাকশন লি.।
মন্তব্য করুন