কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাড়াবাড়ি করলে তোদের চৌদ্দ গোষ্ঠী খেয়ে ফেলব, পুলিশ সদস্যদের ইনু-শাহজাহান খান

হাসানুল হক ইনু ও শাজাহান খান। ছবি : সংগৃহীত
হাসানুল হক ইনু ও শাজাহান খান। ছবি : সংগৃহীত

হ্যান্ডকাফ পরানো নিয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এবং হাসানুল হক ইনু।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে প্রিজনভ্যান থেকে নামানোর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নেওয়ার সময় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শাহজাহান খান বিচারকাজ শুরুর আগে তার হাতে হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমাকে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়েছে। এটা আমার জন্য অমর্যাদাকর।’ তার আইনজীবীও এই বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরেন। সেসময় ট্রাইব্যুনালে কী হয়েছে তা জানতে পুলিশ সদস্যদের ডেকে পাঠান বিচারক।

ট্রাইব্যুনালকে পুলিশ সদস্য নুরুন্নবী জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিদের এভাবে হাজির করা হয়। তখন আরেক পুলিশ সদস্য শহীদুল বলেন, প্রিজনভ্যান থেকে নামানোর সময় তাদের রাজাকারের বাচ্চা বলা হয় এবং বলা হয় তোদের দেখে নেবো। হাসানুল হক ইনু পুলিশ সদস্যদের বলেন তোদের চৌদ্দগোষ্ঠী খেয়ে ফেলব। হাজতখানায় এসে মিটিং করে তারা ফের পুলিশ সদস্যদের হুমকি দেয়।

এ সময় কাঠগড়ায় থাকা হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, শাহজাহান খান, কামরুল ইসলাম বলেন, না না তারা এসব বলেনি। সব মিথ্যা কথা। এর জবাবে ট্রাইব্যুনাল বলেন, যদি কোনো আসামি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। আর পুলিশও যাতে বাড়াবাড়ি না করে সেদিক খেয়াল রাখতে হবে।

এর আগে, জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টাসহ ১৯ জনকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

প্রিজনভ্যান থেকে জুনাইদ আহমেদ পলক অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, একটি দেশ এভাবে চলতে পারে না, মানুষ পরিবর্তন চায়, মানুষ শান্তি চায়।

শাজাহান খান তাদের প্রতি আচরণের সমালোচনা করে বলেন, আমরা রাজাকারদের হাতকড়া পরাইনি, আমাদের কেন হাতকড়া পরানো হয়েছে? এটা লজ্জাজনক।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেয়ের জন্য চিপস আনতে গিয়ে প্রাণ হারান মোবারক

১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় সংকটে মার্কিন ডলার

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন : অধ্যাপক মোর্শেদ

তারা ভেবেছে, নারীঘটিত বিষয় নিয়ে প্রচারে আমার ভোট কমে যাবে : আমির হামজা

পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিএনপিকে চরমোনাই পীরের কড়া বার্তা

নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে : মান্না

ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার

৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্পের সেনারা

চুক্তি নবায়নের পর মোনাকোয় ধারে গেলেন বার্সা তারকা ফাতি

উড্ডয়নের ৭ মিনিটেই মাটিতে আছড়ে পড়ল বিমান, সব আরোহী নিহত

১০

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : খালেদা জিয়া

১১

ঘরে ঝুলছিল বিচারকের স্ত্রীর লাশ

১২

বুমরাহকে নিয়ে ঝুঁকির মুখে ভারত: খেলালে সব শেষ?

১৩

জবি শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

১৪

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল রেসপন্স সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

১৫

পাথর কোয়ারি বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

১৬

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ইসরায়েল’

১৭

বিইউবিটিতে বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়ে সেমিনার

১৮

নতুন ভূমিকায় মিরাজ, ব্যাটিং অর্ডারেও আনছেন পরিবর্তন

১৯

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন চক্রান্তের পদধ্বনি : খতমে নবুওয়ত

২০
X