কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রিমান্ড শেষে কারাগারে এ বি এম খায়রুল হক

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। ছবি : সংগৃহীত

রায় জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।

এদিন ৭ দিনের রিমান্ড শেষে খায়রুল হককে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক খালেক মিয়া।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে বলা হয়, রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে সাত দিন ধরে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। তবে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে ইচ্ছা প্রকাশ না করায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে, তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটক রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ৩০ জুলাই শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহ সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, ২৪ জুলাই সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ)। ওইদিনই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা কিশোর আব্দুল কাইয়ূম আহাদ হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই বিচারক।

গত বছরের ২৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ২০১১ সালের ১০ মে দেওয়া একটি সংক্ষিপ্ত আদেশ পরবর্তী সময় বেআইনিভাবে পরিবর্তন করে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় প্রভাবিত হয়ে এবং অবসরের পর ভালো পদায়নের লোভে এ কাজ করেন। উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে খুশি করা, যা দুর্নীতিমূলক উদ্দেশ্যপ্রসূত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোটরসাইকেলে এসে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপে আগুন

রচনার বিদায়, এবার দিদিদের সামলাবেন মীর

পদ ফিরে পেলেন বিএনপি-যুবদলের ৩ নেতা

কালবেলার হাতে কলরেকর্ড, সেই খণ্ডিত মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে এলো নতুন তথ্য 

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / ডাস্টার দিয়ে ছাত্রীর মাথা ফাটানো সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত 

ফেসবুক মনিটাইজেশন হারানো এড়ানোর সহজ কিছু টিপস

১০৩ রানে পিছিয়ে আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশের দরকার ৩ উইকেট

দিল্লি সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় বাড়াল এনসিপি

পিপলস চয়েসে শীর্ষে মিথিলা

১০

বিশ্বকাপের টিকিট পেতে যে সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে পর্তুগাল

১১

চা বিক্রির সময় ছাত্রলীগ নেতা ইমরান গ্রেপ্তার

১২

৩ দেশের ৪ সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

১৩

নগদে প্লে প্রোটেক্ট সতর্কবার্তা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই

১৪

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবে

১৫

‘রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত হলো’

১৬

চাঁদপুর-২ আসনের জন্য এনসিপির মনোনয়ন কিনলেন মিরাজ

১৭

পায়ে যেসব লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

১৮

মরিচ গাছ চুরি নিয়ে সংঘর্ষে কৃষক নিহত

১৯

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার নিয়ে সতর্কতা গুগলের

২০
X