ঢাকার পল্লবীর বালুঘাট এলাকায় এক নারী সাংবাদিককে সারা রাত আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের তেজগাঁও উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক আমেনা খাতুন এ অভিযোগপত্র দেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- বালুঘাট গ্রিন সিটি গার্ডেনের কেয়ারটেকার এনামুল হক, শাহীন চৌধুরী ও মাহমুদুল হাসান। তবে গ্রিন সিটি গার্ডেনের আরেক কেয়ারটেকার হামিদুর রহমানসহ এজাহারনামী পাঁচ আসামি ও অজ্ঞাতনামা ৮ আসামিসহ ১৩ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠানো হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী সাংবাদিক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জানতে পারেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মাটিকাটা সিঙ্গার শোরুম গলিতে নিরীহ মেয়ে বা নারী-পুরুষ এনে তাদের নির্যাতন করে অশ্লীল ছবি বা ভিডিও তৈরি করে তাদের জিম্মি করে টাকা আদায় করে। সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ১৭ মার্চ রাত ১১টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার মাটিকাটা সিঙ্গার শোরুমের গলিতে যাওয়ামাত্র অজ্ঞাতনামা ১৬ জন পুরুষ তাকে ঘিরে ধরে। তারা তাকে মারধর, শারীরিক নির্যাতন করতে করতে রাত ১টার দিকে পল্লবীর বালুঘাট ‘ইস্টার গার্ডেন গ্রিন সিটি বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায়’ আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যেতে গেলে তারা দেখে ফেলে এবং মারধর করে। প্রাণে বাঁচতে ডাক-চিৎকার করেন তিনি। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ওই নারী সাংবাদিক পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলার পর এনামুল হক এবং হামিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। এদের মধ্যে এনামুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন