রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আরিফ উদ্দিন (৪৬) ও হাফিজুল ইসলাম শামীম (৪৬)।
মিরপুর থানা পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর থানার সেকশন-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে একটি শটগান, একটি টিউব ম্যাগাজিন, একটি বোল্ড অ্যান্ড বোল্ড ক্যারিয়ার, দুটি বডি লকিং পিন, ব্যারেল জ্যাকেট, আগুনে পুড়ে যাওয়া ট্রিগার গার্ড এবং দুটি শটগানের সীসা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
তালেবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের সেকশন-২ এলাকার তুলি জেনারেল স্টোরের সামনে চেকপোস্টে ডিউটি করার সময় মিরপুর থানার একটি টিমের দুই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। তাদের তল্লাশি করার সময় আরিফ উদ্দিনের হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে একটি শটগান, একটি টিউব ম্যাগাজিন, একটি বোল্ড অ্যান্ড বোল্ড ক্যারিয়ার, দুটি বডি লকিং পিন, ব্যারেল জ্যাকেট এবং আগুনে পোড়া ট্রিগার গার্ড উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ছাড়া হাফিজুল ইসলাম শামীমের প্যান্টের পকেট থেকে দুটি শটগানের সীসা কার্তুজ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তালেবুর রহমান আরও জানান, গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে তারা ও পলাতক আসামি নাসির (৪৫) এর সঙ্গে যোগসাজশ করে অবৈধভাবে অস্ত্র ও কার্তুজ ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশের নিজের কাছে রেখেছিল। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর থানার একটি দল মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের ই–ব্লকের ৪ নম্বর রোডে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এই সময় আরিফ ও শহিদুল দৌড়ে তল্লাশিচৌকি অতিক্রম করার চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করে। এ সময়ে আরিফের কাছে সংবাদপত্রে মোড়ানো একটি শটগান এবং শহিদুলের প্যান্টের পকেট থেকে শটগানের দুটি গুলি পাওয়া গেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ ও শহিদুল অস্ত্র বেচাকেনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের সহযোগী নাসিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন