নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ছবি : কালবেলা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ছবি : কালবেলা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের পদত্যাগসহ চার দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে আগামী রোববারের (১৬ মার্চ) মধ্যে বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের হলের সিট বাতিল ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হল প্রাধ্যক্ষ এক শিক্ষার্থীকে ‘ফেল্টুস’ বলে সম্বোধন করেছে এবং এলটমেন্ট কার্ড হারিয়ে যাওয়ায় থানায় জিডি করতে বলেছেন।

এ ছাড়া হলে সিট বাতিল হওয়ায় ১২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ইফতারের টোকেন নিয়ে গড়িমসি করে হল প্রশাসন। এ সময় একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয় বলে জানায় তারা।

এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ইফতার বয়কটের ঘোষণা দেয় এবং নিজেদের উদ্যোগে গণ ইফতার আয়োজন করে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

পরে ইফতার শেষে ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তারা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ ও তার দুঃখ প্রকাশ, চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর পরবর্তী ৩ মাস পর্যন্ত হলে থাকতে দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যেকোনো আয়োজনে আবাসিক এবং অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীদের মানসম্মত খাবার সরবরাহ ও হলের ভাড়া সর্বোচ্চ ৫০ টাকার মধ্যে সীমিত রাখার দাবি জানায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিল প্রথমে বিদ্রোহী হলের সামনে আসে পরে তারা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকে। এরপর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ‘সেতুবন্ধ’ গেস্ট হাউজের সামনে আসে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ শুনে রোববারের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি কোনো শিক্ষার্থীকে ‘ফেল্টুস’ বলিনি। আমিও ২৪ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছি। সম্প্রতি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থীদের সিট বাতিল হয়েছে তাদের জন্যও ইফতারের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু পারিবারিক কারণে আমি বাড়ি চলে আসায় সময়মতো সেই লিস্টটা পৌঁছানো যায়নি। তবে আমি রাতের মধ্যে সেটি পাঠিয়েছি। আর সিট বাতিলের সিদ্ধান্তও আমার একার নয়। এটা প্রভোস্ট কাউন্সিলের সামগ্রিক সিদ্ধান্ত।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রভোস্ট কাউন্সিলে যেসব শিক্ষার্থীর স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং যেসব বিভাগের স্নাতকোত্তর চালু নেই সেখানে স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্নের এক মাসের মধ্যে আবাসিক হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকেই প্রভোস্ট কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এস আলমের বিদেশের বাড়ি জব্দ, অবরুদ্ধ ২৫ কোম্পানির শেয়ার

ঢাবিতে নবাব সলিমুল্লাহর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বিএমইউতে করোনা, ডেঙ্গু ও জ্বরের সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে সিএমই অনুষ্ঠিত

মব সংস্কৃতি সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী 

ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, বেরোবির কর্মচারী আপেল গ্রেপ্তার

শাবিপ্রবির সেই ২ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

এবার বাংলা গানে কণ্ঠ দিলেন রাহাত ফতেহ আলী খান

অনুশীলনে চোট পাওয়া শান্ত কি দ্বিতীয় টেস্ট খেলবেন?

কাউকে কনসালট্যান্ট বা উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়নি দুদক

কাতারকে ধন্যবাদ দিল ইরান

১০

এসজেডএমসির ছাত্রদলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

১১

দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে টেনেহিঁচড়ে মারধর, ভিডিও ভাইরাল

১২

অবশেষে থামল জুলিয়ান আলভারেজের অবিশ্বাস্য জয়রথ

১৩

জামিনের সঙ্গে সুখবর, বাবা হতে যাচ্ছেন নোবেল

১৪

ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে গেল কাতার

১৫

একনেকে ১৭ প্রকল্প অনুমোদন, বরাদ্দ ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা

১৬

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলে মূল্যায়নের আশায় নির্যাতিত সাজ্জাদ

১৭

জবির বাসে র‍্যাগিং প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন

১৮

মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল গ্রেপ্তার

১৯

আশাশুনিতে মাদ্রাসার অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবি

২০
X