পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পাবিপ্রবিতে ডিন হলেন‌ বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পাবিপ্রবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রহমানকে। ছবি : সংগৃহীত
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পাবিপ্রবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রহমানকে। ছবি : সংগৃহীত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ডিন হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রহমানকে। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের পাবিপ্রবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ।

এর আগে বয়সের আগেই অধ্যাপক, স্ত্রীকে নিয়োগের চেষ্টা ও নারীদের সঙ্গে নানা অঙ্গভঙ্গিসহ নানা ঘটনায় সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করেন হাসিবুর রহমান। একবার প্রক্টর‌ হয়েছিলেন। সেই সময়ে নিজের স্ত্রীকে নিয়োগের জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ধরা পড়েছিলেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি নিয়েছেন।

আপন ভাই ইসারত আলী‌ পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। আরেক ভাই হানিফ আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি নিজেও বঙ্গবন্ধু পরিষদের পাবিপ্রবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের‌ নৌকার পক্ষে জোরালো প্রচারণা চালিয়েছেন। ২০২১ সালে প্রক্টর থাকাবস্থায় নারীদের সঙ্গে নানা অঙ্গভঙ্গির করে সমালোচিত হয়েছিলেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী বলেন, পাবিপ্রবিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদ‌ প্রতিষ্ঠিত করেছিল তাদের মধ্যে হাসিবুর অন্যতম। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। কিন্তু এ সময়ে এমন একজন বিতর্কিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা মানে জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

তবে রাজনীতির সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও নিয়োগপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রহমান বলেন, ডিন হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই, এটা তো একাডেমিক পদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ীই নিয়োগ পেয়েছি।‌ আর ওটা (বঙ্গবন্ধু পরিষদ) তো অরাজনৈতিক সংগঠন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে‌ রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, সবই‌ ঠিক আছে কিন্তু রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে কারো কিছু করার থাকে না। উনি ওই বিভাগের সিনিয়র হিসেবেই নিয়োগ পেয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেল্টার কাছে রিয়ালের বিব্রতকর হার

ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

নতুন থেরাপি নিয়ে আশা জাগাচ্ছে এইডস চিকিৎসা

বিচ্ছেদ গুঞ্জনে দিব্যা

বিষণ্নতা নাকি শুধুই ক্লান্তি

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও লোহাগড়ায় নির্মিত হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ

ভোট দিতে প্রবাসী নিবন্ধন ২ লাখ ৪৯ হাজার

অপহরণ মামলায় আসামি ৭ বছরের শিশু

ট্রাইব্যুনালে হাসিনা আমলের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জন

ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, ৬০০ ফুট খাদে গাড়ি পড়ে নিহত ৬

১০

আমি একা থাকতে দারুণ উপভোগ করি: অক্ষয় খান্না

১১

মারা গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়

১২

প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া ২ কর্মচারীকে শোকজ

১৩

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কাতর্কির কারণ জানালেন ময়মনসিংহের ডাক্তার

১৪

সংঘর্ষের পর কম্বোডিয়ায় বিমান হামলা চালাল থাইল্যান্ড

১৫

২ জেলায় নিয়োগ দিচ্ছে টিআইবি

১৬

দেশের বাজারে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৭

বায়ুদূষণে ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ ঢাকা

১৮

বিএনপিতে যোগ দিলেন আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মী

১৯

কিছু সহজ টিপসে ঘর থাকবে ঝকঝকে ও পোকামাকড়মুক্ত

২০
X