খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। ছবি : গ্রাফিক্স কালবেলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। ছবি : গ্রাফিক্স কালবেলা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটেছে। এ সব ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘কুয়েট ১৯’ পেজে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এ চিঠি দেন তারা। চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি ডিপার্টমেন্টের সব ছাত্র প্রতিনিধির স্বাক্ষর সংযুক্ত করা হয়েছে।

চিঠিতে শিক্ষার্থীরা লিখেছেন, আমরা আপনাদের সন্তানতুল্য। আমাদের কোনো আচরণে যদি বিন্দুমাত্র অসম্মান প্রকাশ পেয়ে থাকেন, আমরা দুঃখিত ও আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত। আমাদের ভুলের জন্য গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আপনাদের কাছে বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা আমাদের পিতৃতুল্য, অনেক ক্ষেত্রে তার চেয়েও শ্রদ্ধার।

আপনাদের প্রতিটি কথা আমাদের জীবনের পথনির্দেশ। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি আপনারা আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা বিশ্বাস করি প্রাণের কুয়েট আবারও ঐক্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বন্ধনে জড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে কাজ করে এই শিক্ষাঙ্গনকে বিশ্ব মানে উন্নীত করবে। আমরা আশাবাদী কুয়েট পরিবারের প্রতিটি সদস্য একসঙ্গে একটি সুস্থ, সুন্দর, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা লেখেন, আপনারা সবাই জানেন ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে পিস্তল, চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এক ন্যক্কারজনক ও বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। এ হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী এবং একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আহত হন, যা কুয়েটের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়।

কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রীমহল এ হামলার প্রকৃত সত্য আড়াল করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। অথচ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষকরা বিচক্ষণ এবং সর্বোপরি ছাত্রবান্ধব তা সত্ত্বেও দুঃখজনক এ ষড়যন্ত্রের ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের একটি কৃত্রিম দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

এই স্বার্থান্বেষী মহল প্রচার চালাচ্ছে যে, আন্দোলনটি নাকি শিক্ষকবিরোধী কিংবা শিক্ষাবিরোধী। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, এই আন্দোলন কখনো শিক্ষাবিরোধী ছিল না, শিক্ষকবিরোধীও ছিল না। এই আন্দোলন ছিল সন্ত্রাসবিরোধী, দুর্নীতিবিরোধী এবং শান্তিপূর্ণ একটি উদ্যোগ। এর মূল উদ্দেশ্য লেজুড়ভিত্তিক রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিরাপদ ও জ্ঞান চর্চার উপযোগী একটি কুয়েট গড়ে তোলা।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একক দাবি- একটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, নিরাপদ ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ। এই আন্দোলন তারই প্রতিফলন। তবুও আন্দোলনের সময় কোনো শিক্ষার্থীর আচরণ বা বক্তব্য যদি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মনে আঘাত লেগে থাকে, তবে আমরা হৃদয়ের গভীর থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আওয়ামী দোসরদের বের করবে জুলাই ঐক্য, শুরু সচিবালয় থেকে

প্রতিপক্ষের হামলা / জিয়া সাইবার ফোর্সের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ আহত ৭

ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার সম্ভাবনা

কৌশলের রাজনীতি মানুষ দেখতে চায় না : চরমোনাই পীর

টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

খুবি শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের সেই ভয়ংকর গুপ্তঘরের মালিকের স্বীকারোক্তি

নরসিংদীতে ভুয়া জুলাইযোদ্ধা তালিকা ও শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদ

ববি ভিসিসহ প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার অপসারণ

১০

আশুলিয়ায় যুবদলের লিফলেট বিতরণ / ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম

১১

চট্টগ্রাম বোর্ডে বাংলা দ্বিতীয়পত্রে একাধিক ভুল, দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা

১২

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির এক সদস্যকে বহিষ্কার 

১৩

সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির বর্ষপূর্তি উদযাপন

১৪

বরিশাল মহানগর বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ

১৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদির ১৪২ বিলিয়ন ডলারের বিশাল অস্ত্র চুক্তি

১৬

বেতন-পদোন্নতি নিয়ে চিকিৎসকদের সুখবর দিল সরকার

১৭

সাবেক এমপি আনার হত্যার এক বছর : মরদেহের খণ্ডাংশের অপেক্ষায় স্বজনরা

১৮

ববির নতুন ভিসি তৌফিক আলম 

১৯

আওয়ামী যড়যন্ত্রকারীদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না : আমিনুল হক 

২০
X