সবাইকে সতর্ক করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘ফ্যাসিস্টরা যাতে আর কখনো এ দেশের মাটিতে শিকড় গাড়তে না পারে, সে শপথ আমরা আজ গ্রহণ করছি। ফ্যাসিস্টবিরোধী যে কোনো আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন করিডোর থেকে বিজয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। বিজয় শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের করিডোর প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। বিজয় শোভাযাত্রা শেষে এসব কথা বলেন বাকৃবি উপাচার্য।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী চেতনা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশ গঠনের যে প্রয়াস ছিল, তা ১৯৭৫-এর পরে বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা আবার সেই জাতীয় চেতনার পুনর্জাগরণ দেখতে পাই। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, দমন-পীড়ন থেকে মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা জনগণের ভেতরে ছিল, তা বাস্তবায়িত হয় এ দিনে। দিনটি আমাদের কাছে শুধু একটি তারিখ নয়, বরং এটি প্রতিরোধ, সাহস ও গণতন্ত্রের বিজয়ের প্রতীক।’
জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড মো. আসাদুজ্জামান সরকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মো. সাইফুল্লাহসহ প্রক্টরিয়াল টিমের অন্য সদস্যরা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও দপ্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে শিশু-কিশোর কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী। এতে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
মন্তব্য করুন