কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, সিনেট সদস্য হচ্ছেন ৫ ছাত্র প্রতিনিধি

ডাকসুর প্রথম সভা। ছবি : সংগৃহীত
ডাকসুর প্রথম সভা। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস সংলগ্ন একটি কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মহিউদ্দীন খানসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

সভা শেষে জানানো হয়, ঢাবির সিনেট সদস্য হিসেবে ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধির নাম পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মহিউদ্দীন খান এবং সদস্যদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া সাবিকুন্নাহার তামান্না ও পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ।

সভাশেষে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ শুরু হলো। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা সমাধান ও তাদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।

এর আগে গতকাল শনিবার ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সভার কথা জানানো হয়।

১৯২৩ সালে যাত্রা শুরুর পর ডাকসু নির্বাচন হয়েছে ৩৮ বার। ২০১৯ সালের নির্বাচনে সহসভাপতি হন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুর এবং বর্তমানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সময়ে ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়েছে মাত্র ৭ বার। ১৯৯১ সালের পর থেকে ডাকসু নির্বাচন যেন অমাবস্যার চাঁদ হয়ে যায়।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ডাকসুর ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হন ছাত্র ইউনিয়ন থেকে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক হন মাহবুবুর জামান। ১৯৯০ সালের পর ১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছিলেন; কিন্তু ছাত্রলীগের বিরোধিতার কারণে নির্বাচন হয়নি।

১৯৯৬ সালে অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী উপাচার্য হওয়ার পর একাধিকবার ডাকসু নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেন, কিন্তু তা আর শেষমেশ বাস্তবায়িত হয়নি। মাঝেমধ্যে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং সিনেটে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও এসেছে। তবে তাতে কোনো ফল মেলেনি। ২০০৫ সালে তপশিল ঘোষণা হলেও ছাত্রলীগের বিরোধিতায় নির্বাচন হয়নি। তখন ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করলেও ছাত্রলীগের প্রতিরোধের কারণে তাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়নি।

এরপর ২০১২ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ, ধর্মঘট, কালো পতাকা মিছিল এবং ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানান। লাগাতার আন্দোলন চলে বেশ কিছুদিন। শেষে ২০১৯ সালে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ বিরতির পর সে বছর ডাকসু নির্বাচন হলেও ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের কারণে তা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সবশেষ ২০২৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইপিএলে সতীর্থ হিসেবে যাদের পাচ্ছেন মুস্তাফিজ

১২ কোটিতে আইপিএলে দল পেয়ে যে বার্তা দিলেন মুস্তাফিজ

চবিতে চাকসু ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর সারায়েভো, ঢাকার অবস্থান কত

রাস্তায় আঁকা গোলাম আযমের ছবি মুছে দিল দুর্বৃত্তরা

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতার মৃত্যু

ছেলে পালিয়ে বিয়ে করায় জীবন গেল মায়ের

ভিডিও জগতে নতুন আপডেট আনল অ্যাডোবি

ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ

মাউন্ট লেবাননে হামলা চালাল ইসরায়েল

১০

আমাকে বিদায় দিতে কেউ এয়ারপোর্টে যাবেন না : তারেক রহমান

১১

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এলো আরও ৫ দেশ

১২

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

১৩

প্রবাসী আ.লীগের উপদেষ্টাসহ গ্রেপ্তার ৫

১৪

স্বর্ণ-রুপার আজকের বাজারদর জেনে নিন

১৫

দক্ষিণ কোরিয়ায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

১৬

সেই ৭ খুন মামলার আসামি নূর হোসেনের ভাই নূর ছালাম গ্রেপ্তার

১৭

দেশে আসার তারিখ জানালেন তারেক রহমান

১৮

ব্যালন ডি’অরের পর ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ও জিতলেন ডেম্বেলে

১৯

ইসলামের নামে দেশকে বিভাজন করা যাবে না : নাহিদ

২০
X