রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও উপ-উপাচার্য মঈন উদ্দিনসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তির দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অন্যদিকে ক্লাস-পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যাচ্ছে দাবি করে ৪টি প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচন পেছানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।
ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নুর উদ্দিন আবীর বলেন, পোষ্য কোটা ইস্যু এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপ্লিট শাটডাউনের মধ্যে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা একেবারেই নেই। অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন রাকসু নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর সুষ্ঠু এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে সম্ভব নয়। উৎসবমুখর ও গ্রহণযোগ্য করতে পূজার পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছি।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, পোষ্য কোটা বাতিল ও ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দাবিতে আমরা অনড় আছি। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখছি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি নির্বাচনে সহযোগিতা না করেন, তাহলে নির্বাচন খুবই কষ্টকর হবে। ২০ তারিখের ঘটনায় সব প্যানেলের প্রচারে ভাটা পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছেন। প্রশাসনের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই উৎসবমুখর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এজন্য প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের পালস বুঝে কাজ করতে হবে।
একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেছেন, নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে একটি চক্র। তাই ২৫ সেপ্টেম্বরই নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসন ভবন থেকে বের হলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটকে দেন। পরে তার বাসভবনে তালা ঝোলানো হয়। এরপর জুবেরী ভবনে ঢুকতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। উপ-উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের আটকে রেখে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। রাত ১টার দিকে উপাচার্য ড. সালেহ্ হাসান নকীব পোষ্যকোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।
মন্তব্য করুন