দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার রাতে আরেকটি ভারত–পাকিস্তান লড়াই, আর ফল সেই একই—ভারতের দাপট। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে গড়ল নিজেদের সর্বোচ্চ রান (১৭১) ভারতের বিপক্ষে। তবুও শেষ পর্যন্ত তা রইল হারের কাগুজে রেকর্ড ছাড়া আর কিছু নয়। অভিষেক শর্মার ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস ভর করে ভারত সহজেই ছয় উইকেটে জিতল, হাতে থাকল সাত বল।
শুরুর দিকে পাকিস্তান লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল। ফখর জামান দ্রুত ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে, তবে নতুন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন। সাইম আয়ুবের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৭২ রানের জুটি। ফারহান ৪৫ বলে ৫৮ রান করলেও ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেই ধীর হয়ে পড়েন; একসময় টানা ৩৯ ডেলিভারি পাকিস্তানের ব্যাট থেকে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। শেষ দিকে ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ৮ বলে ২০ রানে পাকিস্তান পৌঁছে ১৭১–এ। ভারতের পক্ষে শিভম দুবে নেন দুই উইকেট।
রান তাড়া শুরু হয় আরও আগ্রাসী ভঙ্গিতে। শুরুর বলেই শাহীন আফ্রিদিকে ছক্কা হাঁকান অভিষেক শর্মা। এরপর থেকে শুরু হয় সীমাহীন আক্রমণ। শুভমন গিল গ্যাপ খুঁজে চার মারতে থাকেন, অভিষেক তুলে মারতে থাকেন ছক্কা। মাত্র ৫৯ বলে এই জুটি যোগ করে ১০৫ রান—ভারতের ইতিহাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে অন্যতম সেরা ওপেনিং। গিল ২৮ বলে ৪৭ রান করলেও ক্র্যাম্পের পর আউট হন ফাহিম আশরাফের বলে। সুর্যকুমার যাদব শূন্য রানে ফেরেন।
তবুও দাপট দেখাতে থাকেন অভিষেক। আবরার আহমেদকে আক্রমণ করে ১২ বলে ৩২ রান তুলে নেন, মারেন চারটি ছক্কা। অবশেষে আবরারের হাতেই থামেন, তবে ততক্ষণে ভারতকে জয়ের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। ৭৪ রানের ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা।
অভিষেক ফেরার পর খানিকটা ধীর হয় ভারতীয় ইনিংস। সানজু স্যামসন কষ্টেসৃষ্টে ১৩ রান করে আউট হন। তবে তিলক ভর্মা ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করে আসেন। ১৯ বলে অপরাজিত ৩০ রানে তার ইনিংস শেষ হয়, এর মধ্যে ছিল দুটি চার ও দুটি ছক্কা।
হ্যারিস রউফ পাকিস্তানের সেরা বোলার, ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন। তবুও ভারতের জয়ের ধারা থামাতে পারেননি তিনি।
ভারত ১৭৪/৪ (অভিষেক ৭৪, গিল ৪৭, তিলক ৩০*)
পাকিস্তান ১৭১/৫ (ফারহান ৫৮, দুবে ২/৩৩)
মন্তব্য করুন