বগুড়ার ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) অধ্যক্ষ আমায়াত উল হাছিনকে বাগেরহাটে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ পারসোনাল-১ শাখা (উপসচিব) মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ১৪ দিনের মাথায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আমায়াত উল হাছিনকে বদলি করা হলো।
ওই চিঠিতে আমায়াত উল হাছিনকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বাগেরহাট ম্যাটসের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় অষ্টম কর্মদিবসের মধ্যে ‘স্ট্যাান্ড রিলিজ’ বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া বগুড়া আইএইচটির সিনিয়র লেকচারার ওমর ফারুক মীরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে বগুড়া ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ঘটনায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি সোমবার সরেজমিনের তদন্তে আসে। এরপর অধ্যক্ষকে বদলি করা হলো।
বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. আমায়াত উল হাছিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, একজন আসামি এখনও বাইরে; তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে কেন জিজ্ঞেস করছেন না। এ সময় তাকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আপনি উপস্থিত ছিলেন কি না- এমন পাল্টা প্রশ্নে তিনি জবাব দেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আমিও ছিলাম। আমি আমার রুমে ছিলাম।’ তদন্ত কমিটির প্রধান অধিদপ্তরের উপপরিচালক গওসুল আজিম চৌধুরী। সদস্য দুজন হলেন, সহযোগী অধ্যাপক (স্বাস্থ্য শিক্ষা) হাবিবুর রহমান ও আইএইচটি বগুড়ার সিনিয়র লেকচারার আবদুল কাদের।
তারা সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন। তারা ঘটনা সম্পর্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নেন। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য শোনেন। সন্ধ্যার পর অভিযুক্ত সজল ঘোষ ক্যাম্পাসের ছাত্রাবাসের যে কক্ষ দখল করে ছিলেন, সেই কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে প্রতিনিধিদল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
গউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে আমরা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমণ্ডলীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের সাক্ষাৎকার এখনও চলমান রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করার পর মতামত দিতে পারব। ক্লাস বর্জন করে অধ্যক্ষের অপসারণসহ ৩ দফা দাবিতে ১৪ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, অধ্যক্ষ আমায়াত উল হাছিনকে অপসারণ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সজল ঘোষকে গ্রেপ্তার ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সজল কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা করেন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান।
মন্তব্য করুন