জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৯ পিএম
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘একে অপরের সঙ্গে কথা না বলায় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে’

জাবিতে ‘মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল’বিষয়ক সেমিনার। ছবি : কালবেলা
জাবিতে ‘মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল’বিষয়ক সেমিনার। ছবি : কালবেলা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ইফরাত জাহান বলেছেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে একত্র হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যতিক্রমী চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে জানার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে সেভাবে কথা বলে না। ফলে সবার মাঝে থেকেও তারা নিজেদের একা মনে করে।’

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল’বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, সকাল ১০টায় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর ‘মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন মানবাধিকার’ প্রতিপাদ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ইফরাত জাহান আরও বলেন, ‘দেশে একসময় যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ছিল। তখন প্রতিটি পরিবারে অনেক বেশি সদস্য থাকায় বাচ্চাদের কথা বলার মানুষের অভাব হতো না। কিন্তু এখন আমরা একক পরিবারে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া এবং বাবা-মায়েরা কাজে ব্যস্ত থাকায় বাচ্চারা একাকী বোধ করে। একই সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে কথা না বলে ভার্চুয়াল জগতে ব্যস্ত থাকে। ফলে পাশে বসে থাকা একটা মানুষও তাদের অপরিচিত থেকে যায়।’

এসব সমস্যা নিরসনের উপায় হিসেবে তিনি বলেন, ‘ভার্চুয়াল জগত কখনো সামনা-সামনি কথা বলার বিকল্প হতে পারে না। আমাদের আশপাশের মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। একে অপরকে জানতে হবে। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পরিবার-পরিজন এবং সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটতে পারে।’

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ অব্যাহতভাবে সহ্য করার চেয়ে তা নিয়ে অপরজনের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। এতে পরিস্থিতি মোকাবিলার পথ তৈরি হতে পারে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।’

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রে কাজের পরিবেশ সুস্থ থাকলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।’

সেমিনারে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ টি এম আতিকুর রহমান ও শিক্ষার্থী কল্যাণ এবং পরামর্শদান কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক আফসানা হক প্রমুখ।

এ ছাড়া সেমিনারের টেকনিক্যাল সেশনে মনোবিজ্ঞানী শুভাশীষ কুমার চ্যাটার্জীও বক্তব্য রাখেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কাটতে গিয়ে চোরাকারবারি ধরা

আলেমরাই পারেন মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে : ড. কাইয়ুম

মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় আরও এক সংগঠন

এক নামের সবাইকে কি মাফ করে দেওয়া হবে? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ অবৈধ : ডিসি কামরুল হাসান

সি-স্যুট সম্মাননা পেলেন নেসলে বাংলাদেশের পরিচালক এএসএম হাফিজুল

চিরনিদ্রায় ধর্মেন্দ্র

বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

ঘুষের অভিযোগ / দুদকের শুনানিতে বিআরটিএ পরিদর্শক বরখাস্ত

১০

চট্টগ্রামে কম্বলের গুদামে ভয়াবহ আগুন

১১

সুন্দরবনে ৪ জেলে অপহৃত, মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেন একজন

১২

নির্বাচন আয়োজনে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৩

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি সাদা দলের শিক্ষকদের

১৪

বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার কমনওয়েলথ মহাসচিবের

১৫

যে তারিখে জন্ম সে তারিখে বিয়ে করলে কি ক্ষতি হয়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

১৬

স্টেডিয়ামে ধ্বংস করা হলো উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল

১৭

যাবজ্জীবনে দণ্ডিত গ্রেপ্তার আলম মলমপার্টির ‘সক্রিয়’ সদস্য

১৮

এবার ব্রুনাইয়ের জালে বাংলাদেশের গোলবন্যা

১৯

চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১

২০
X