খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের আয়োজনে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড দি ফোর্থ এগ্রিকালচারাল রেভোলিউশন’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার)। এদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম চৌধুরী ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। অনুষ্ঠানটিতে প্যাট্রন হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়াও কনফারেন্স অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন এগ্রোটেকনোলোজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দীন খান ও কনভেনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।
এছাড়াও তিনটি থিমেটিক এরিয়াতে তিনজন থিমেটিক বক্তা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এর মধ্যে ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা’ বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. স্টিভেন ওয়েব, ‘কৃষির অভিযোজন ও টিকে থাকা’ বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন অস্ট্রেলিয়ার মারডক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. রিচার্ড বেল এবং ‘কৃষির যান্ত্রিকিকরণ ও কৃষি বিপ্লব’ বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের প্রফেসর ড. চয়ন কুমার সাহা।
উল্লেখিত থিমেটিক এরিয়াগুলোতে মোট দুই শতাধিক দেশি ও বিদেশি গবেষক অংশগ্রহণ করবেন। এই কনফারেন্সে প্রায় ৬০টির মতো গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে ও শতাধিক প্রবন্ধ পোস্টারে প্রদর্শিত হবে।
এ বিষয়ে কনফারেন্স অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ার এগ্রোটেকনোলোজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দীন খান জানান, ‘এগ্রোটেকনোলোজি ডিসিপ্লিনের ২৫ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকগণ তাদের বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন করবেন, কৃষি বিষয়ক সমকালীন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি সম্পর্কে মতামত দিবেন ও পারস্পরিক বৈজ্ঞানিক চিন্তা-ভাবনার বিনিময় করবেন।’
এর মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষকসহ সকলেই উপকৃত হবেন এবং তাদের অর্জিত এই জ্ঞান বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝেও ছড়িয়ে দিবেন। এই প্রক্রিয়ায় সামগ্রিকভাবে কৃষিক্ষেত্র এই কনফারেন্স আয়োজন থেকে উপকৃত হবে।
মন্তব্য করুন