ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের সীমানাপ্রাচীর ভাঙনকারী নুর আলম বাবুলের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ভূমিদস্যু নুর আলম বাবুলসহ ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজে বাধা সৃষ্টিকারী সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল ভাঙার অপরাধে বাবুলসহ তার গুন্ডা বাহিনীকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে, ক্যাম্পাসের সমতল ভূমি থেকে যারা মাটি চুরি করে ১৫০টি কূপ করেছে তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে, নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে আমাদের শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে, নতুন ক্যাম্পাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষিত পুলিশ ফাঁড়ির দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, নতুন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরীর ব্যবস্থা করতে হবে, চলমান সীমানাপ্রাচীরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে, কোনো অদৃশ্য শক্তি যাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের ব্যাঘাত না করতে পারে সেই নিশ্চয়তা করতে হবে।
মানববন্ধনে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাফিজ অন্তর বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বারবার রাজপথে নামতে হয়েছে। যদি দরকার হয়, আবারও রাজপথে নামবেন শিক্ষার্থীরা। আমরা সুকান্তের ঝলসানো রুটির মতো থাকতে চাই না। নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলন হবে।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী পুরান ঢাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অধীর আগ্রহ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন ক্যাম্পাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরা ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এরই মধ্যে আমাদের ৭ দফা মেনে নিতে হবে। যদি এরই মধ্যে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা পুরান ঢাকা অচল করে দেব।
মানববন্ধন শেষে নুর আলম বাবুলের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের পূর্বপাশে মুজাহিদনগর মাদ্রাসার পাশে সীমানাপ্রাচীর ভাঙার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে পুলিশ এলে ভাঙচুর চালানো স্থানীয়রা সবাই পালিয়ে যান। এ সময় তাদের ব্যবহৃত প্রাডো জিপগাড়ি রেখে চলে যায়। পরে কেরানীগঞ্জ থানায় গাড়িটি জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
মন্তব্য করুন