বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ পরিচয়ে এসে তাদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার থেকে ক্যান্টিনের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্যান্টিনের পরিচালক পরশ।
তিনি বলেন, সেদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ পরিচয়ে ক্যান্টিনে আসে। তারা ক্যান্টিনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা স্টাফদের দিকে তেড়ে এসে ক্যান্টিনের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
পরশ অভিযোগ করে বলেন, বুটেক্স ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাতীয় নির্বাচনের আগেও একবার ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। সে টাকা না পেয়ে এখন ৫০ লাখ টাকা দাবি করছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যান্টিন বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বাইরের থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ক্যান্টিনে ভাঙচুরের বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আলোচনা করে সমাধান করব।
অভিযোগের ব্যাপারে বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু বলেন, চাঁদা দাবি করার বিষয়টি মন গড়া অভিযোগ। একটা ক্যান্টিন থেকে কেউ ৫০ লাখ টাকা চায়! এগুলো হচ্ছে গ্রাম্য মানুষের কাজ। সেখানে যেমন একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, অভিযোগ করেন। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে হয়তো কেউ এ ধরনের অভিযোগ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ক্যান্টিনে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা চলছে। শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। পরে আমরা কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ক্যান্টিনের দায়িত্বশীলদের একাধিকবার এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে আমরা ক্যান্টিনের উন্নয়নে কাজ করছি, সেখানে আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
মন্তব্য করুন