কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ
জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

ফাইরুজ অবন্তিকা। ছবি : সংগৃহীত
ফাইরুজ অবন্তিকা। ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফাইরুজ অবন্তিকা নামে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেন। আর তার সহযোগী হিসেবে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করেছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জবি ভিসি অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে প্রথমে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ। এরপর কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎকরা মৃত ঘোষণা করেন।

আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহকে ৫ সদস্যের এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য সচিব হিসেবে আছেন পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের উপপরিচালক হিমাদ্রী শেখর মণ্ডল। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ এবং জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন।

ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসেবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাব না।’

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেছি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। ’

এ বিষয়ে ছাত্র আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

তবে পোস্টে নাম উল্লেখ করা সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, মেয়েটাকে দেখি ১ থেকে দেড় বছর আগে। তারা কয়েকজন সহপাঠী প্রক্টর অফিসে আসে। সে সময় তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামালসহ আরও কয়েকজন সহকারি প্রক্টর অফিসে ছিল। মেয়েটা ফেক আইডি ব্যবহার করে তার বন্ধুদের এসএমএস দিত। এটা নিয়ে থানায় জিডি হয়। আমাদেরকেও জানানো হয়। পরে মেয়েটা স্বীকার করে। এরপর তার পরিবারের লোকজন অনুরোধ করে জিডি তুলে নেওয়ার জন্য। তখন সকল প্রক্টরিয়াল টিম মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়, তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনো ঝামেলা না হলে জিডি তুলে নেওয়া হবে। আমি কখনো মেয়েটার সঙ্গে একা কথা বলিনি। সিসিটিভি ফুটেজ বা প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেখলেও বুঝা যাবে। আপনারা ঘটনা তদন্ত করে দেখুন। আমি দোষী হলে শাস্তি দিন। কিন্তু আগেই আমাকে দোষী বানাবেন না দয়া করে। না হলে আমারও সুইসাইড করা লাগবে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। ছাত্রী তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্যদের নাম উল্লেখ করেছে। উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যহতি প্রদানের মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ব্রাজিলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক : আমীর খসরু

বিগ ব্যাশে খেলার জন্য নাম দিয়েছেন ১১ বাংলাদেশি ক্রিকেটার

‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র রিমেকে আপত্তি কাজলের

ভারতে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

তেহরান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভারতীয়দের

ভয়ংকর সংঘাত আরও দুদিন চলতে পারে

ছাত্রদল নেতার বাবার কাছে মিলল ১৬ ককটেল

জুলাইয়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ তৈরি করতে পারব : আলী রীয়াজ

ইসরায়েলের ডাকে যুক্তরাষ্ট্র কি সাড়া দেবে?

আকস্মিক বন্যায় চলনবিলে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন

১০

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দেবে না জামায়াত

১১

ওয়াশিংটনে ফিরে বড় কিছু ঘটাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

১২

ইরানের পরমাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে কি ইসরায়েলের?

১৩

চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণ, এবার হেলপার গ্রেপ্তার

১৪

যেসব কারণে কমে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন, না জানালে বিপদ

১৫

উপদেষ্টার পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন : ইশরাক

১৬

ইসরায়েলের বাসে পড়ল ইরানি মিসাইল

১৭

দেশে জ্বালানির দাম বাড়ানোর চিন্তা নেই : অর্থ উপদেষ্টা

১৮

গলে তিন উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ

১৯

আইআরজিসির সদর দপ্তরের নতুন প্রধানও নিহত

২০
X