বাস-সিএনজি সংঘর্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে চারজন। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ত্রিশালে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ ত্রিশালের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দরিরামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের স্নাতকোত্তর সালমা আজাদী (২৫), উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রাম এলাকার এনামুল হক শামীমের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম (২) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকনা মনোহর গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৩)।
গুরুতর আহতরা হলেন নিহত রুবাইরা তাজনিমের বাবা এনামুল হক শামীম, মা শাহিদা খাতুন ও চাচি মনি আক্তার। ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী সোনার ময়না পরিবহনের একটি বাস ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে আবারও ঢাকায় ফেরার জন্য ত্রিশালে সব যাত্রী নামিয়ে দেয়। পরে বাসটি পৌর শহরের দরিরামপুর এলাকার সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে দিয়ে ইউটার্ন নেওয়ার সময় ময়মনসিংহ থেকে ত্রিশালগামী যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই রুবাইয়া তাসনিম নামে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান আজাদী ও শরিফুল ইসলাম নামে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
ত্রিশাল থানার ওসি (তদন্ত) চাঁদ মিয়া জানান, শিশু রুবাইয়া তাসনিমের লাশ ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সালমান আজাদী ও শরিফুলের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রাখা আছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হলেও বাসচালক পালিয়ে গেছেন।
মন্তব্য করুন