মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চবির হলে ছাত্রলীগ কর্মীর মদপান, ছবি ভাইরাল

ভাইরাল হওয়া আশিকুজ্জামান জয়ের ছবি। ছবি : সংগৃহীত
ভাইরাল হওয়া আশিকুজ্জামান জয়ের ছবি। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হলে ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুজ্জামান জয়ের মদপানের ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আশিকুজ্জামান জয়ের রুমটি সিলগালা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আলী আরশাদ চৌধুরী।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে মাদক সেবনের জেরে বিজয় গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আশিকুজ্জামানের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে।

আশিকুজ্জামান জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের অনুসারী। তিনি আবাসিক এ এফ রহমান হলের ৪৪৪ রুমে বসে মাদক সেবন করে থাকেন। বেশ কিছু ছবিতে তাকে ওই রুমে বসে মদপান করতে দেখা গেছে।

জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। সবসময় মাদকাসক্ত থাকে এবং সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বেড়ায়। এরই জেরে সোমবার রাতে মারধরের ঘটনা ঘটে। মূলত বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ ও মাদক সেবনের জন্যেই মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী আশিকুজ্জামান জয়ের। অপরদিকে হলে মাদক কারবারের বিষয়ে নিষেধ করতে গিয়ে কথাকাটাকাটি ও পরে ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে দাবি অভিযুক্তদের।

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের নিলয় বলেন, ওই ছেলে (আশিকুজ্জামান জয়) মাদকাসক্ত এবং হলে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের আস্তানা তৈরি করে রেখেছে। তার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে হলের সিনিয়র জুনিয়র সকলেই বিরক্ত। আমরা বিভিন্ন সময় নানাভাবে তাকে এসব থেকে বিরত থাকতে বলে আসতেছি কিন্তু তিনি কিছুতেই কর্ণপাত করেনা। ঘটনার দিনও আমরা সেশনের সব বন্ধুরা মিলে তাকে এ নিয়ে বুঝাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে চরমভাবে খারাপ ব্যবহার করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। যার কারণে সেখানে থাকা কয়েকজন রেগে যায় এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

অপর অভিযুক্ত রাসেল রাজ বলেন, আমরা শুধু কথা বলতে গিয়েছিলাম। মারধরের কোনো উদ্দেশ্যই আমাদের ছিলনা। বাইরে থেকে আমরা কোনো অস্ত্রই নিয়ে যাইনি। তিনি যে লাঠিসোটা ও হকিস্টিকের কথা বলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

চবির এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আলী আরশাদ চৌধুরী বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে খবর পেয়ে হলের ৪৪৪ রুমে গিয়েছিলাম। তখন ওখানে কোনো শিক্ষার্থী ছিল না। তবে আমরা কিছু মদের খালি বোতল পেয়েছি। সেগুলো সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। বোতলগুলো কে ব্যবহার করেছে তা আমরা জানি না। তদন্ত করে এ বিষয়ে বলতে পারবো। আর হলের ৪৪৪ রুমটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে।

চবির সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. লিটন মিত্র বলেন, এ বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। মাদকের কিছু ছবিও আমাদের কাছে এসেছে। মাদকের বিষয়ে সবসময় আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করি। এ বিষয়ে আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জে বিএনপির ভরসা মমিনুল হক

৪৫ রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বহালসহ ৮ দাবিতে আলটিমেটাম

বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের ‘সুখবর’ দিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা শিগগিরই, যেসব আসনে লড়তে পারেন শীর্ষ নেতারা

যে জেলার কোনো আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি

সেই প্রিয়াঙ্কাতেই আস্থা বিএনপির

ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ‘মায়ের ডাকের’ তুলি

কুমিল্লার ৯ আসনে যাদের পেল বিএনপি

সৌদিতে বসে সুখবর পেলেন বিএনপির যে নেতা

যেসব আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি

১০

নতুন-পুরাতন মিলিয়ে রাজশাহীর আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

১১

চমক দিয়ে বরিশালের ১৬টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

১২

দিনাজপুর-৬ আসনে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন ডা. জাহিদ

১৩

জোট-সঙ্গীদের জন্য যেসব আসন রাখল বিএনপি

১৪

কুড়িগ্রামের ৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

১৫

জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হলেন আশরাফুল

১৬

খুলনার ৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা

১৭

নারায়ণগঞ্জের ৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা

১৮

রংপুরের ছয় আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

১৯

ফেনীতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হলেন যারা

২০
X