২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ফরম পূরণ করেও অনেক শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি। প্রতিদিনই অসংখ্য পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিত থাকার ঘটনা ঘটছে- যা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ পরিস্থিতির প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিত থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির পেছনের কারণ জানতে নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের উদ্যোগ নিয়েছে বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ফরম পূরণ করেও যারা এক বা একাধিক বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি বা শুরু থেকেই অনুপস্থিত রয়েছে, তাদের তথ্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পৃথকভাবে দিতে হবে। এজন্য গুগল ফর্মের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে, যার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ মে পর্যন্ত।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়- প্রতিটি অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে ফরম পূরণ করতে হবে। অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীর সঙ্গে সরাসরি অথবা ফোনে কথা বলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করে তা যাচাই করতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মতে, এই উদ্যোগের ফলে অনুপস্থিতির পেছনে থাকা পারিবারিক, সামাজিক বা মানসিক কারণগুলো উঠে আসবে। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। মঙ্গলবার (১৩ মে) ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত লিখিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষা শেষ হবে বৃহস্পতিবার (১৫ মে)। ওইদিন থেকেই শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা, যা চলবে ২২ মে পর্যন্ত। মাদ্রাসার ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬-২২ মে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন