উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ‘এআইগনাইট-২৫’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতিমান পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের একত্রিত হয়েছেন, যারা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অনুপ্রাণিত করেন ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রযুক্তি ও মানব দক্ষতার সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী বলেন, ‘মানব মস্তিষ্ক এআইয়ের চেয়ে বহুগুণ মূল্যবান এবং শক্তিশালী। এআই আমাদের কাজকে সহজ করতে পারে। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, প্রযুক্তি আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে দখল না করে।’
শিক্ষার্থীরা একটি ইন্টারেকটিভ এআই কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে, বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়, যা শেখার অভিজ্ঞতাকে মজাদার এবং ফলপ্রসূ করে তোলে।
এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা ও সাবেক পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবীর শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হলে দক্ষতা অর্জন জরুরি। এআই আমাদের কম সময়ে অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করছে।’
সেমিনারে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা তাদের ভাবনা প্রকাশ করেন। সিটি ব্যাংক এন. এ. বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড ট্রেড প্রোডাক্ট সুবাহ আফরিন ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে তার অভিজ্ঞতা জানান।
গ্রামীণফোনের লিড, আইওটি প্রোডাক্ট ম্যানেজার রেজওয়ান আরেফিন টেলিকমে এআই-ভিত্তিক উদ্ভাবনের নানা দিক তুলে ধরেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার কাজী তাফসিরুল ইসলাম শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তাদের জন্য এআইয়ের ব্যবহারিক প্রয়োগ তুলে ধরেন।
অতিথিদের মধ্যে ছিলেন, ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের লেকচারার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান, ব্যাটারি লো ইন্টারেকটিভ লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মিনহাজ-উস-সালেকীন ফাহমি, লেখক ও যুব উদ্যোক্তা মো. আলতামিশ নাবিল। তারা নেতৃত্ব, উদ্ভাবন এবং এআইয়ের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে মূল্যবান অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
অফিস অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের ইন-চার্জ মোহাম্মদ আলী কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
মিডিয়া পার্টনার টেক ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠানের বিস্তৃত প্রচার করেছে, যা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এআইয়ের সম্ভাবনা তুলে ধরেছে। ‘এআইগনাইট-২৫’ সফলভাবে দেখিয়েছে কীভাবে সামনের দিনে তরুণরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে গ্রহণ করে উদ্ভাবন, সমস্যা সমাধান এবং ভবিষ্যৎ গঠনে মানব সৃজনশীলতা এবং বুদ্ধিমত্তাকে মূল্যায়ন করতে পারে।
মন্তব্য করুন