শিক্ষা প্রশাসনে একটি বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের অন্যতম বৃহৎ সরকারি দপ্তর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) ভেঙে দুটি পৃথক অধিদপ্তর করা হচ্ছে। একটি হবে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং অন্যটি ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’। এই যুগান্তকারী সংস্কার প্রস্তাবে ইতোমধ্যে সম্মতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
রোববার (১২ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরের কার্যক্রম পৃথক করে প্রশাসনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাউশির বর্তমান বিশাল কর্মপরিধি একটি একক দপ্তরের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ছিল বলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৮ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিবকে (সরকারি মাধ্যমিক শাখা) আহ্বায়ক এবং একই বিভাগের উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবকে (সরকারি মাধ্যমিক-১) সদস্য-সচিব করে গঠিত এই কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির প্রধান কাজ গুলো হলো, ‘রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬’ অনুসরণ করে নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট কার্যতালিকা তৈরি করা। দুটি অধিদপ্তরের জন্য পৃথক সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবল বণ্টনের রূপরেখা প্রস্তুত করা। নতুন অধিদপ্তর দুটির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের তালিকা নির্ধারণ করা।
কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের উপসচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মাউশির বর্তমান উপপরিচালক (মাধ্যমিক), উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) এবং সহকারী পরিচালককেও (বাজেট) কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন