কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাউশি ভেঙে হচ্ছে পৃথক অধিদপ্তর, নাম কী?

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

শিক্ষা প্রশাসনে একটি বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের অন্যতম বৃহৎ সরকারি দপ্তর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) ভেঙে দুটি পৃথক অধিদপ্তর করা হচ্ছে। একটি হবে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং অন্যটি ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’। এই যুগান্তকারী সংস্কার প্রস্তাবে ইতোমধ্যে সম্মতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

রোববার (১২ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরের কার্যক্রম পৃথক করে প্রশাসনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাউশির বর্তমান বিশাল কর্মপরিধি একটি একক দপ্তরের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ছিল বলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৮ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিবকে (সরকারি মাধ্যমিক শাখা) আহ্বায়ক এবং একই বিভাগের উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবকে (সরকারি মাধ্যমিক-১) সদস্য-সচিব করে গঠিত এই কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির প্রধান কাজ গুলো হলো, ‘রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬’ অনুসরণ করে নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট কার্যতালিকা তৈরি করা। দুটি অধিদপ্তরের জন্য পৃথক সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবল বণ্টনের রূপরেখা প্রস্তুত করা। নতুন অধিদপ্তর দুটির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের তালিকা নির্ধারণ করা।

কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের উপসচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মাউশির বর্তমান উপপরিচালক (মাধ্যমিক), উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) এবং সহকারী পরিচালককেও (বাজেট) কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

যে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়তে রাজি নয় ইসরায়েল

ময়মনসিংহে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

ধানের শীষের বিজয় মানেই জনগণের মুক্তি : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

বাবর আজমকে নিয়ে ধারাভাষ্যে রমিজ রাজার তির্যক মন্তব্য

১১

‘সঠিক ও মানসম্পন্ন সংবাদ উপস্থাপনে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে’

১২

আন্দরকিল্লা মসজিদ আইকনিক করতে ব্যয় ৩০০ কোটি

১৩

মেসির চেয়েও ধনী শুধু দুইজন ক্রীড়াবিদ!

১৪

প্রবাসীর ছেলেকে দাদা-দাদির কবরের পাশে ঠাঁই দিল না চাচারা

১৫

শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১৬

বিপিএলের জন্য নতুন রূপে প্রস্তুত হচ্ছে রাজশাহী স্টেডিয়াম

১৭

সাংবাদিককে আটক করে পুলিশের মারধর, গায়েব করার হুমকি

১৮

রেড ক্রিসেন্ট থেকে এনসিপি নেতাকে অব্যাহতি

১৯

নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আবারও এনসিএল শিরোপা রংপুরের ঘরে

২০
X