কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ১০:১৯ পিএম
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৩, ১০:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবির ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, নিউইয়র্কে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলার বিভিন্ন ইভেন্ট। সৌজন্য ছবি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলার বিভিন্ন ইভেন্ট। সৌজন্য ছবি

প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পা রেখেছে ১০৩ বছরে। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ৮৪৭ শিক্ষার্থী, ৩টি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। তারপর শতবর্ষ পেরিয়ে এটি এখন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্মদিন উপলক্ষে গত ১ জুলাই নিউইয়র্কে বসেছিল এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয় কুইন্সের লাগুর্ডিয়া এয়ারপোর্ট মেরিয়টের ব্যাংক ওয়েট হলে। শুধু নিউইয়র্ক নয়, আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনুষ্ঠানে ছুটে যান নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া, পেনসেলভেনিয়াসহ ভিন্ন স্টেটে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

নিজেদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনটা কেক কাটার মাধ্যমে শুরু করেন প্রবাসে থাকা ঢাবি শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশন করা হয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা।

তার আগে পরিচয়পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয় তুলে ধরেন। তাদের বর্তমান পরিস্থিতি এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও পরস্পরকে জানান। অনুষ্ঠানের বড় অংশজুড়ে ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ। এতে সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকে যেমন আনন্দে উদ্বেলিত হন, আবার অনেকে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন।

সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণা করেন ড. এনাম সরকার, সাংবাদিক আবুল কাশেম, কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, মাহমুদ খান মেনন, মুক্তি জহির, প্রযুক্তিব্যবসায়ী কায়েস মোহাম্মদ আলমগীর, ড. ইব্রাহীম খলিল, সিলভিয়া সাবরিন, মো. খলিলুর রহমান, হজরত আলী, ইকবাল মোরশেদ ,আনোয়ার খান, আরেফিন তুলু, ইমামুদ্দিন, ইকবাল মাসুদ, শামীমা জাহান, রুবি আফরিন এবং ফাতিমা মৌসুমী।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তাদের ঋণের শেষ নেই। তাদের জীবনকে আমূল বদলে দিয়েছে এই একটি প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় মানুষকে উদার হওয়ার শিক্ষা দেয়, মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করার শিক্ষা দেয়, সর্বোপরি দেশ ও দশের কল্যাণে কীভাবে আরও কাজ করা যায়, তার শিক্ষা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বক্তারা আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এটিই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যে একটি জাতির জন্ম দিয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়াসহ সকল বড় বড় আন্দোলন সংগ্রামের সুতিকাগার এই বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সময়ের ব্যবধানে এর শিক্ষার মান কমে যাওয়া নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা উঠেছে। বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং স্বনামধন্য লেখক কাজী জহিরুল ইসলাম ও ড. ইব্রাহীম খলিলের হাতে বিশেষ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। লেখালেখির মধ্য দিয়ে তারা দুজন দেশে-বিদেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।

সম্মাননা গ্রহণ করে কবি জহির বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সকল অর্জন ও আনন্দের মূল প্রেরণা। ড. ইব্রাহীম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামীর তরুণদের নিয়ে আশায় উদ্দীপ্ত হওয়ার কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে লেখালেখির জগতে থাকা কাজী জহিরুল ইসলামের বইয়ের সংখ্যা ৯৭ এবং ড. ইব্রাহীম খলিলের বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৬০।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে ম্যারিয়ট পরিণত হয় এক টুকরো টিএসসি, মলচত্বর বা কার্জন হলে। অনুষ্ঠান শেষে হলেও কারো যেন অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগের ইচ্ছে হচ্ছিল না। আগামি বছর আরও বৃহত্তর পরিসরে জন্মোৎসব করার প্রত্যয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বর্ণ কিনবেন, জেনে নিন আজকের বাজারদর

অলিখিত ‘ফাইনালে’ মাঠে নামছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা

শীতে গোসল করার উপযুক্ত সময় কোনটি?

বুড়ি তিস্তা খনন প্রকল্পে ক্ষুব্ধ কৃষকরা, প্রতিবাদে মশাল মিছিল

বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচের জন্য / সৌম্য সরকারকে নিয়ে শক্তিশালী দল ঘোষণা, নেই লিটন

যশোরেই প্রথম উড়েছিল বাংলাদেশের বিজয় নিশান

ভারতে ফেরত পাঠানো হলো সন্তানসহ অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবিকে

বিপিএল শুরুর আগেই মিলল দুঃসংবাদ

সিরিয়ায় আসাদের পতনের পর ২১ অভিযান মার্কিন জোটের

সবার থেকে আপনার শীত বেশি লাগছে, জেনে নিন কারণ কী

১০

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে আবার গোলাগুলি

১১

ভারতের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

১২

আজ ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৩

শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে ১৮ ডিগ্রিতে

১৪

সিরিয়ার জ্বালানি খাতকে সুযোগ হিসেবে দেখছে পশ্চিমারা

১৫

বিয়ের বৈঠকে বাগ্‌বিতণ্ডা, ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত

১৬

রাজধানীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬

১৭

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৮

শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা নেমে ১১ ডিগ্রিতে

১৯

৬ ডিসেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

২০
X