এবার এশিয়ার বৃহত্তম চলচ্চিত্র আসর বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’ (দ্য স্ট্রেনজার)।
৩০ আগস্ট ২৮তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগ নিউ কারেন্টস এবং জিসোক অ্যাওয়ার্ড বিভাগের মনোনীত চলচ্চিত্রের তালিকা প্রকাশিত হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো কোনো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র বুসানের প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা পেল।
৪ থেকে ১৩ অক্টোবর বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৮তম আসর অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত বছর ‘আগন্তুক’ চলচ্চিত্র ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ফিল্ম বাজারের ভিউয়িং রুমের রিকমেন্ডস বিভাগের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে প্রসাদ ল্যাব ডিআই এবং মুভিবাফ অ্যাপ্রিসিয়েশন পুরস্কার জিতে নেয়।
চলচ্চিত্রটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌসী মজুমদার, সাহানা রহমান সুমি, রতন দেব, মাহমুদ আলম, এহান, রাফসান, হৃদয়, হাসিমুন ও নাঈমা তাসনিমসহ অনেকে।
আগন্তুকের প্রযোজক হিসেবে আছেন রম্য রহিম চৌধুরী, তাজুল হক ও বিপ্লব সরকার। চলচ্চিত্রটি ২০১৯-২০ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুদান লাভ করে।
আগন্তুক চলচ্চিত্রের গল্প আবর্তিত হয়েছে কাজল নামের ১০ বছর বয়সী এক বালককে ঘিরে। মা ও অসুস্থ দাদিকে নিয়ে কাজলদের সংসার। অনেক দিন ধরে নিখোঁজ কাজলের বাবা হঠাৎ একদিন ফিরে এলে শুরু হয় টানাপড়েন।
একটি পরিবারের সম্পর্কগুলোর দ্বান্দ্বিকতা খুব সূক্ষ্মভাবে দেখানো হয়েছে আগন্তুক চলচ্চিত্রে। এ বিষয়ে অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, আগন্তুক অত্যন্ত সাহসী একটি প্রযোজনা। খুবই সময়োপযোগী গল্প এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রগুলো থেকে এর নির্মাণশৈলীও একেবারে আলাদা। প্রযোজক, পরিচালক ও কলাকুশলীদের প্রতি আমার শুভকামনা রইল।
আগন্তুক চলচ্চিত্রের নির্বাহী প্রযোজক রম্য রহিম চৌধুরী বলেন, বুসানের মতো মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নেওয়া আমাদের জন্য খুবই সম্মানের। সীমিত রিসোর্স নিয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মাণে আগন্তুকের সকল সদস্যকেই প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক ডিস্ট্রিবিউটর এবং সেলস এজেন্টের কাছে আগন্তুক চলচ্চিত্র পৌঁছে দেওয়া।
২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসের বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ফিল্ম বাজারের পুরস্কার হিসেবে ভারতের প্রসাদ ল্যাব, মুম্বাইয়ে আগন্তুকের কালার গ্রেডিং করা হয়। এর শব্দ পরিকল্পনা করেন কলকাতার প্রখ্যাত শব্দ পরিকল্পক ও সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সাউন্ড ডিপার্টমেন্টের প্রধান সুকান্ত মজুমদার। বিপ্লব সরকারের পাশাপাশি সম্পাদনায় ছিলেন কলকাতার প্রখ্যাত সম্পাদক শঙ্খ।
মন্তব্য করুন