কয়েকটি সিনেমার কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে ঢালিউড কুইন খ্যাত চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের। সেগুলোর স্ক্রিপ্ট যাচাই-বাছাই করতেন তিনি। এসবের পাশাপাশি ফটোশুট ও ব্র্যান্ড ওপেনিংয়ের কাজেও দেখা যায় তাকে। সামলাতে হয় একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়কেও। তা ছাড়া সময় দিতে হয় পার্লার ও জিমেও। রিল ও রিয়েল লাইফে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেন এই নায়িকা? কী ধরনের পোশাক পরেন, গায়ে মাখেন কেমন সুগন্ধী? এসব বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে আলাপ হয়েছে অপু বিশ্বাসের।
কালবেলার সাপ্তাহিক বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান তারাবেলায় অতিথি হয়ে এসেছিলেন অপু বিশ্বাস। সেখানে নিজের ফ্যাশনের বিষয়ে তিনি বলেন, পোশাকের ক্ষেত্রে সবসময় ফোকাস করি—আমাকে দেখতে সুন্দর লাগছে কিনা। যখন কোনো ড্রেস পরা হয়, সেটার ব্র্যান্ড বা দাম যা-ই হোক না কেন, ফোকাস করি আমি কোন ড্রেসটাতে শান্তি পাচ্ছি।
নায়িকা আরও বলেন, ব্র্যান্ড কিংবা নন ব্র্যান্ড সব ধরনের পোশাক পরা হয় আমার। তবে আমি দুভাগে ভাগ করে নিয়েছি। যখন পার্সোনালি কোথাও ট্রাভেল করি কিংবা কোথাও যাই, সেক্ষেত্রে কিছুটা সিলেক্টিভ ড্রেস পরার ট্রাই করি। তখন ব্র্যান্ডকে সাপোর্ট করি। কর্পোরেট মিটিংগুলোতেও আমি ব্র্যান্ডকে সাজেস্ট করি। রেগুলার প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে বা আমাকে যখন স্ক্রিনে আসতে হয়, সেক্ষেত্রে যে পোশাকে আমাকে দেখতে ভালো লাগবে বা যেটা আমি ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারব, সেটা পরি।
অপু বলেন, ‘বাসা, বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে যাওয়া, পার্লার কিংবা ফিটনেস ক্লাবে যাওয়ার ক্ষেত্রে মানানসই পোশাক পরি। বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় একটা নরমাল একটা কুর্তি ও প্যান্ট পরে চলে যাই। পোশাক আসলে সিচুয়েশনের ওপর ডিপেন্ড করে। এক বাক্যে বলতে গেলে, আমি যেখানে যে ড্রেস পরে শান্তি পাব, আমি সেটাই প্রেফার করি।
ঘড়ির বিষয়ে ঢালিউড কুইনের ভাষ্য, ‘আমার কাছে মনে হয় সানগ্লাস, ঘড়ি, ব্যাগ ও জুতা—এগুলো মানুষের ব্যক্তিত্বকে প্রেজেন্ট করে। এর সঙ্গে আছে পারফিউম। সেটা দিয়ে বোঝা যায় যে তিনি কী রকম’।
সুগন্ধির বিষয়ে এই চিত্রনায়িকা বলেন, আমি মেকআপ রুমে গেলে বা কারো সামনে দিয়ে হেঁটে গেলে সবাই বুঝত যে অপু আসছে। আমাদের তো রোদের মধ্যে বাইরে খুব কঠিন কাজ করতে হতো, ঘাম হতো, তাই শুটিং চলাকালীন আমি সব সময় পারফিউম ব্যবহার করতাম। আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করত—অপু তুমি কি এখানে এসেছিলে? যদি প্রশ্ন করতাম—আপনি কীভাবে বুঝলেন? তখন বলতেন—তোমার পারফিউমের ঘ্রাণ পেয়েছি।
শাড়ির বিষয়ে অপু বলেন, আমার মধ্যে শাড়ির ওই ধরনের চাহিদা নেই, তবে জামদানিতে আমার একটু দুর্বলতা কাজ করে। শাড়ি পরার ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিপছন্দ হলো—শাড়ি যদি এক কালারের হয়, ব্লাউজটা যেন খুব গর্জাস হয়।
মন্তব্য করুন