কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২১ এএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শহীদ মিনারে ফরিদা পারভীনের মরদেহে শ্রদ্ধা সকালে, কুষ্টিয়ায় দাফন

সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। ছবি : সংগৃহীত
সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। ছবি : সংগৃহীত

কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনের মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন জন্য রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। পরে কুষ্টিয়ায় মা-বাবার কবরে তাকে দাফন করা হবে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতে হাসপাতাল থেকে তেজগাঁও বাড়িতে নেওয়া হবে ফরিদা পারভীনের মরদেহ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা। তারপর নেওয়া হবে কুষ্টিয়ায়, সেখানে জানাজা হবে। দাফন করা হবে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে।

ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল বলেন, ‘মাকে আমরা কুষ্টিয়াতে দাফন সম্পন্ন করব, তার ইচ্ছা অনুযায়ী।’ মেয়ে জিহান ফারিয়া বলেন, ‘মা মর্যাদা নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তার শেষ ইচ্ছে ছিল কুষ্টিয়া যাওয়ার।’ বাবা-মার কবরের পাশে দাফন করার শেষ ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি।

সবশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফরিদা পারভীনকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পরই নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়; সেখান থেকে আর তাকে ফেরানো যায়নি।

ফরিদা পারভীন বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। চলতি বছরে তিন দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে।

১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। এরপর পার হতে হয় অনেক চড়াই-উতরাই। পারিবারিক সূত্রেই গানের ভুবনে আসা। গানের প্রতি বাবার টান ছিল বেশি। দাদিও গান করতেন। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাকে।

সংগীত জগতে ফরিদা পারভীনের পথচলা শুরু ১৯৬৮ সালে, রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে তিনি খ্যাতি পান। পরবর্তী সময়ে সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে লালনগীতির তালিম নেন এবং ধীরে ধীরে লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৭ সালে তিনি একুশে পদক পান।

এর বাইরে ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। লালনশিল্পী হিসেবেই সুপরিচিত হন, তার কণ্ঠে বেশ কটি আধুনিক ও দেশের গান জনপ্রিয় হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষে ভোট চাইতে হবে : আমান

শহীদ মিনারে ফরিদা পারভীনের মরদেহে শ্রদ্ধা সকালে, কুষ্টিয়ায় দাফন

সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিবের শোক

বাংলাদেশে এখনো নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি : মামুনুল হক

বিএনপি একটি সুন্দর ও মানবিক রাষ্ট্র গড়তে চায় : মোস্তফা জামান 

শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনবে বিএনপি : আনোয়ার 

ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিল ভারত

নির্বাচিত হলে দুই মাসে গ্যাস সুবিধা পাবে নাটোরবাসী : দুলু

‘এক বছরের সাফল্যগাঁথা : বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দূরদর্শী নেতৃত্ব’

মন্ত্রিপাড়ায় সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি, মার্কিন নাগরিক গ্রেপ্তার

১০

জাকসুতে কত ভোট পেল ছাত্রদলের ভিপি-জিএস প্রার্থী?

১১

বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

১২

লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

১৩

জাতীয় প্রেসক্লাবে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও হেলথ কার্ড বিতরণ

১৪

মাছধরা ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ৩ জেলে অগ্নিদগ্ধ

১৫

তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড

১৬

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যের আহ্বান কফিল উদ্দিনের

১৭

চার দফা দাবিতে সড়কে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীরা

১৮

নেইমারের ফিটনেস নিয়ে আনচেলত্তির দাবি নাকচ করল সান্তোস

১৯

মাত্র ৩ টাকায় সুস্বাদু রসগোল্লা

২০
X