ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী ফের বড়পর্দায় নতুন চমক নিয়ে হাজির হতে চলেছেন। টালিউড থেকে বলিউড সবখানেই সমান তালে কাজ করে দর্শকদের মন জয় করা এই অভিনেতাকে এবার দেখা যাবে টালিউড সুপারস্টার জিতের বিপরীতে। ছবির নাম ‘কেউ বলে বিপ্লবী কেউ বলে ডাকাত’। এখানে টোটা রূপ দেবেন এক সাহসী পুলিশ অফিসারের চরিত্রে, যার নাম দুর্গা রায়।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে টোটা জানান, একের পর এক ভালো চরিত্র পাওয়ার জন্য তিনি খুশি। নতুন এই সিনেমা চরিত্র নিয়ে তিনি বললেন, “একজন অভিনেতা হিসেবে আমি সবসময় চিত্রনাট্যকেই প্রাধান্য দিয়েছি। ‘কেউ বলে বিপ্লবী কেউ বলে ডাকাত’ গল্পটা পড়ার পরই বুঝেছিলাম, এর মধ্যে সেই দৃঢ়তা ও গভীরতা রয়েছে যা আমি খুঁজছিলাম। আমার চরিত্রটির অনেক স্তর রয়েছে, যেখানে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আর সূক্ষ্মতা রয়েছে যা আমাকে সত্যিই আকর্ষণ করেছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় পরিচালক পথিকৃতের (বসু) কাজ পছন্দ করেছি। এই চলচ্চিত্রটিতে ওনার সঙ্গে কাজ করতে পারছি বলে খুব ভালো লাগছে। এদিকে জিৎ আর আমি বহুদিনের বন্ধু হলেও একসঙ্গে কাজ করা হয়নি। আমি আনন্দিত যে এই ছবি অবশেষে আমাদের প্রথমবারের মতো একসঙ্গে পর্দায় নিয়ে আসছে।‘
আসন্ন এই সিনেমার গল্প ১৯৬০-এর দশকের কলকাতার পটভূমিতে নির্মিত। ছবির প্রধান চরিত্র অনন্ত একজন রহস্যময় ব্যক্তি, যিনি একজন ডাকাত নাকি একজন বিপ্লবী, সেই চিত্র তুলে ধরবে ছবিটা। স্বাধীনতার পর, সামাজিক দুর্নীতি এবং সাধারণ মানুষের শোষণের দ্বারা হতাশ হয়ে, তিনি বঞ্চিতদের মধ্যে সম্পদ পুনর্বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নেন।
ব্যাংক ডাকাতি করা এবং শক্তিশালী ব্যক্তিত্বদের থেকে কী পাওয়া যেতে পারে, সেদিকে নজর দিয়েছিলেন। ইন্সপেক্টর দুর্গা রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ যখন তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে, তখন অনন্তের সূক্ষ্ম পরিকল্পনা এবং সামরিক দক্ষতা তাকে এগিয়ে রাখে। পুলিশের কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু অনন্ত কেন এমন পদক্ষেপ করলেন?
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার অতীত, তার সহকর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য প্রতিশোধ নেওয়ার গল্প। শেষে অনন্তের কর্মকাণ্ড ন্যায়বিচার এবং অপরাধের মধ্যে অস্পষ্ট রেখাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে পরিচালক পথিকৃৎ বসুর জানান, তিনি টোটা রায় চৌধুরীর বড় অনুরাগী। নির্মাতা সেই কারণে খুব উচ্ছ্বসিত যে তার ছবিতে টোটা রায় চৌধুরীকে পাবেন। এই ছবিতে টোটার চরিত্রকে অ্যাকশন করতে দেখা যাবে। ছবিটির শুটিং শুরু হবে আর কিছুদিনের মধ্যেই।
মন্তব্য করুন