ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৬৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোববার (১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও একজন পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। নতুন আক্রান্ত ৩৩৫ জনের সবাই ঢাকার বাইরের বাসিন্দা। চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে ৬২ জন পুরুষ ও ৪৩ জন নারী। একই সময়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ হাজার ৫৬৯ জন পুরুষ এবং ১০ হাজার ৮০৯ জন নারী।
ডেঙ্গু জ্বরে যা জানা জরুরি
ডেঙ্গু একটি ভাইরাল জ্বর, যা এডিস এলবোপিক্টাস এবং এডিস ইজিপ্টাই নামে মশার কামড় থেকে ছড়ায়। এ মশাগুলো দিনে ও রাতে উভয় সময় কামড়ায়, আর এ মশা সারা দিন সাধারণত জনবসতিপ্রধান এলাকায় অবস্থান করে। বিশ্বব্যাপী বছরে ৩৯০ মিলিয়ন সংক্রমণ ঘটে, যার মধ্যে প্রায় ৯৬ মিলিয়ন ক্লিনিক্যাল সঠিকমতো ধরা পড়ে।
লক্ষণ : আকস্মিক উচ্চমাত্রার জ্বর। মাথা, চোখের পেছনে, পেশি ও অস্থিসন্ধিতে বেদনাদায়ক ব্যথা। বমি, ক্লান্তি, গায়ের লালচে ফুসকুড়ি। র্যাশ এবং গুরুতর ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক বা রক্তপাত, ধমনিতে চাপ কমে যেতে পারে।
নির্ণয় ও চিকিৎসা : রক্তপরীক্ষা- প্ল্যাটিলেট, হেমাটোক্রিট ও ভাইরাস শনাক্তকরণ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল নেই; মূলত সহায়ক চিকিৎসা তাপ নিয়ন্ত্রণ, বিশ্রাম, তরলসার গ্রহণ ইত্যাদি।
সতর্কতা: ডিহাইড্রেশন, প্লেটলেট কমে গেলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ : ঘরে যেন পানি জমে না থাকে। টায়ার, ফুলের টব ও গামলা পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। এমন পোশাক পরতে হবে, যেন শরীর ঢেকে থাকে, মশারি ও রিপেল্যান্ট ব্যবহার করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে মশা নিয়ন্ত্রণ ও গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো প্যাথোজেন নিরীক্ষা (বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে) ও উলবাকিয়া পদ্ধতিতে মশা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন