বাংলাদেশিদের মাঝে এখনো সাবানই গোসলের সবচেয়ে পরিচিত উপকরণ। ছোটবেলায় সাদা, লাল, কমলা— কত রঙের সাবানই তো আমরা ব্যবহার করেছি। গোসল মানেই যেন সাবানের গন্ধ, ফেনা আর সতেজ অনুভূতি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোসলের জগতে যোগ হয়েছে নতুন প্রতিযোগী ‘বডি ওয়াশ।’ ঝকঝকে বোতলে সুগন্ধিযুক্ত আর নানা ফর্মুলার এই বডি ওয়াশ এখন অনেকেরই পছন্দের তালিকায়।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, ত্বকের জন্য আসলে কোনটি ভালো— সাবান নাকি বডি ওয়াশ? চলুন, সমাধান খুঁজি—
একসময় সাধারণ সাবানই ছিল একমাত্র ভরসা। তবে এখনকার সাবান শুধু গায়ে ময়লা ধোয়ার কাজেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সংবেদনশীল বা শুষ্ক ত্বকের জন্য আলাদা সাবান পাওয়া যায়। অন্যদিকে, বডি ওয়াশ এসেছে আরও আধুনিক রূপে। শুষ্ক, তৈলাক্ত বা ব্রণপ্রবণ— ত্বকের ধরন অনুযায়ী আলাদা আলাদা বডি ওয়াশ সহজেই পাওয়া যায়। কারও পছন্দ এক্সফোলিয়েটিং বডি ওয়াশ, কেউ আবার শুধু ফেনার জন্যই ব্যবহার করেন। বাথটাব ব্যবহারকারীদের জন্যও এটি সুবিধাজনক। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো— যতটা প্রয়োজন, ততটাই নিয়ে ব্যবহার করা যায়।
সুবিধা-অসুবিধা
প্রতিটি জিনিসের যেমন সুবিধা আছে, তেমন অসুবিধাও রয়েছে।
সাবান
১. পরিবারের সবাই মিলে একই সাবান ব্যবহার করলে চর্মরোগ ছড়াতে পারে। ২. সাবান ভিজে গেলে গলে যায়, সংরক্ষণে সমস্যা হয়। ৩. হাত থেকে পিছলে মেঝেতে পড়লে সহজেই নোংরা লেগে যায়।
বডি ওয়াশ
১.ব্যবহার সহজ ও স্বাস্থ্যসম্মত। ২. কিন্তু এতে যদি সালফেট বা প্যারাবেনস থাকে, তাহলে সেটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পরিবেশের দিক থেকে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বডি ওয়াশ সাধারণত প্লাস্টিক বোতলে বিক্রি হয়, যা পরিবেশের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করে। অন্যদিকে সাবান তুলনামূলকভাবে পরিবেশবান্ধব। বেশিরভাগ সাবান কাগজে মোড়ানো থাকে, যদিও এখন অনেক ব্র্যান্ড প্লাস্টিক প্যাকেটও ব্যবহার করছে।
শেষকথা
সাবান না বডি ওয়াশ, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসলে ব্যক্তিগত পছন্দ ও ত্বকের ধরন অনুযায়ী। যদি পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী কিছু চান, তবে সাবানই যথেষ্ট। আবার সাবানের ঘষাঘষি যদি অপছন্দ হয়, কিংবা নিজের ত্বকের জন্য আলাদা কিছু খুঁজে নিতে চান, তবে বডি ওয়াশ হতে পারে ভালো বিকল্প।
সূত্র : আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন