বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন, অক্ষয় কুমার, মালাইকা আরোরা, শ্রদ্ধা কাপুর, শাহিদ কাপুর কিংবা মিলিন্দ সোমন—সবারই একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। জিজ্ঞেস করলে সবাই বলেন, ডিনার সারেন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেই। কেউ কেউ আরও আগে। সম্প্রতি এক ফিচার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম।
এতে জানানো হয়েছে, এমন নয়, এটা কোনো ট্রেন্ড ফলো করা। বরং এটা এই তারকাদের স্বাস্থ্যসচেতন জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, ‘অক্ষয় কুমার তো এক সাক্ষাৎকারে বলেই ফেলেছেন, সাড়ে ছ’টার মধ্যে ডিনার সেরে নিন, গ্যারান্টি দিচ্ছি বদলে যাবে জীবন।’
কী এমন হয় এই একটা অভ্যাসে? চিকিৎসকরা বলছেন, রাত যত বাড়ে, আমাদের শরীরের বিপাক হার (metabolism) তত কমে যায়। ফলে দেরিতে খাবার খেলে হজম করতে শরীরের কষ্ট হয়। এতে অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। সন্ধ্যার মধ্যে খেয়ে ফেললে পাকস্থলি হালকা থাকে, হজমও ভালো হয়।
চলুন, জেনে নিই আরও কিছু উপকারিতা—
ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে বেশিরভাগ বলিউড তারকাই তাদের শরীর ও ফিটনেস নিয়ে ভীষণ সচেতন। রাতে বেশি খাবার খেলে ক্যালোরি খরচ হওয়ার সুযোগ থাকে কম, ফলে তা জমে গিয়ে রূপ নেয় ফ্যাটে। আগেভাগে খেলে শরীর সেই ক্যালোরি কাজে লাগাতে সময় পায়। ফলে ওজন বাড়ার ঝুঁকিও থাকে না।
ভালো ঘুম আসে রাত ৮টার পর ভারি খাওয়া অনেক সময় ঘুমে সমস্যা তৈরি করে। বুকের অস্বস্তি, গ্যাস বা বদহজমে ঘুম ভেঙে যায়। আগেভাগে হালকা খেয়ে ফেললে পাকস্থলিও বিশ্রামে যায়, মস্তিষ্কও শান্ত থাকে। ফলে ঘুম হয় গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন।
সুগার ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে থাকে রাত ৭টার মধ্যে খাওয়া বন্ধ করলে শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা (sensitivity) বাড়ে। অর্থাৎ ইনসুলিন আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তাই এখন অনেক পুষ্টিবিদ ও ফিটনেস কোচও পরামর্শ দেন, সন্ধ্যার মধ্যেই রাতের খাবার শেষ করতে।
বয়স ধরে রাখে শরীর যখন দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকে, তখন নিজেই কোষের পুরনো অংশ মেরামত করে (যাকে অটোফ্যাজি বলে) এবং টক্সিন বের করে দেয়। এই প্রক্রিয়া শরীর ও ত্বক দুটিকেই তরতাজা রাখে। তাই বলিউড তারকাদের ঝলমলে ত্বক ও জেল্লাদার লুকের পেছনে এই অভ্যাসের বড় ভূমিকা রয়েছে।
মন্তব্য করুন