ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ০১:১২ পিএম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘কোটা না মেধা’ স্লোগানটি উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা : সাদ্দাম

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ছবি : কালবেলা
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, যেখানে সরকারি চাকরির প্রতিটি পরীক্ষার্থীতেই একজন পরীক্ষার্থীকে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা প্রতিটি ধাপ পার হয়ে আসতে হয় তাই ‘কোটা না মেধা’ স্লোগানটি একটি ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত এবং উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা। এখানে মেধার বিপরীতে মেধার প্রতিযোগিতায় সমাজের অনগ্রসর অংশকে কিছুটা এগিয়ে দেওয়া হয় যা পুরোপুরি ন্যায় এবং সংবিধানসম্মত।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ২০১৮ সাল থেকে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কারণে নারীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যায়, যা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অন্তরায় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি, কোটা ব্যবস্থা উঠে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এদেশের নারী সমাজ।

উদাহরণস্বরূপ: কোটা থাকা অবস্থায় সর্বশেষ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসে নারীদের চাকরি হয় যথাক্রমে ২৫,৮৯ শতাংশ, ২৪.৭৩ শতাংশ এবং ২৬.৮৭ শতাংশ। অপরদিকে কোটা তুলে দেয়ার পর ৪০, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসে নারীদের চাকরি হয় ২১.০৮ শতাংশ, ২১.২০ শতাংশ এবং ১৭.০৫ শতাংশ। এমনকি প্রায় ৫০টি জেলায় বিসিএস ছাড়াও সরকারি যেসব কর্মসংস্থানে সুযোগ ছিল সেগুলোতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব শূন্য হয়ে যায়। অর্থ্যাৎ কোটা উঠে যাওয়ার পর উন্নয়নের মূলধারা থেকে নারীরা ছিটকে পড়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত 'প্ল্যানেট ৫০/৫০' অনুযায়ী যেখানে সরকারি চাকরিতে নারীদের ৫০% অংশগ্রহণ থাকা উচিত সেখানে বাংলাদেশে তা ৩০% এরও নিচে রয়েছে। কোটাব্যবস্থা উঠে যাওয়ার কারণে তা আরও প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় সমন্বিত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনের জন্য জেলা কোটার প্রচলন হলেও কোটা তুলে দেওয়ার পর তা থেকে বঞ্চিত হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। উদাহরণস্বরূপ: ৪০তম বিসিএসে দেশের ২৪টি জেলা থেকে এবং ৪১তম বিসিএসে ১৮টি জেলা থেকে একজনও বিসিএস পুলিশে সুপারিশকৃত হয়নি।

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, সমাজের পিছিয়ে পরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগোষ্ঠীর জন্যও এটি সত্য। কোটা থাকা অবস্থায় ৩১ থেকে ৩৮তম বিসিএসে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ১৭৯ জন সুপারিশকৃত হন। কোটা বাতিলের পর ৩৯তম বিসিএসে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ২৪ জন সুপারিশ পেয়েছেন এবং ৪০ ও ৪১ বিসিএসে সুপারিশ পেয়েছেন মাত্র দুজন।

এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত রাখা, জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে আসা এবং কোটা ইস্যুর যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক সমাধানের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটাবিরোধী আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যমুনা ব্যাংকে চাকরি, বয়স ৪৫ হলেও আবেদন

রাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

অবশেষে সুলাইমানিয়ার আকাশপথ খুলে দিল তুরস্ক 

বাস কাউন্টারে আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৬

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

ঐতিহাসিক আল-রাবিয়া মসজিদ আবার খুলে দেওয়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুগ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের

চবির দুই হল সংসদের ফল পুনর্গণনার ঘোষণা

টিভিতে আজকের খেলা

১০

ঢাকার যেসব এলাকায় আজ মার্কেট বন্ধ 

১১

চট্টগ্রামে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে ভবনে আগুন

১২

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ, জানা যাবে যেভাবে

১৩

১৬ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৪

ঢাবির শোক দিবসে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন

১৫

চাকসুতে জয় পেলেন সাদিক কায়েমের ভাই আবু আয়াজ

১৬

চাকসুতে ২৬ পদের ২৪টিতেই শিবিরের জয়

১৭

চাকসুতে ভিপি ও জিএস পদে শিবির, এজিএস পদে ছাত্রদল জয়ী

১৮

স্লোগানে-স্লোগানে ফের উত্তাল চবি

১৯

আরও তিন হলে ভিপি-জিএসে ছাত্রশিবির এগিয়ে

২০
X