কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৬ এএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, মহাসচিব মাজহারুল ইসলাম

আমিরুল ইসলাম ও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। ফাইল ছবি
আমিরুল ইসলাম ও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। ফাইল ছবি

খুলনা জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং কুষ্টিয়া জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।

দীর্ঘ ২৫ বছর পর ভোটের মাধ্যমে অ্যাসোসিয়েশনের ৪৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটি বেছে নিলেন বিচারকরা।

অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, এই নির্বাচনে অনলাইনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৬৪ জেলার ২হাজার ১৮৫ বিচারক। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ৩৫ জন বিচারক। উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

এই নির্বাচনের সভাপতি, মহাসচিবসহ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির ১৬টি পদে মোট ৪৫ জন বিচারক নির্বাচিত হয়েছেন।

বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলনকক্ষে অনলাইনে ভোট গ্রহণ কার্যক্রমটি পুরো সময় লাইভ দেখানো হয়। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্বর্তী নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. জাকির হোসেন গালিব, মহাসচিব মোহাম্মদ ফারুক ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. সাব্বির ফয়েজ ভোটদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

জানা গেছে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই সংগঠনকে কুক্ষিগত করে রাখে একটি মহল। ঘুরে ফিরে নেতৃত্ব থাকে ওই সিন্ডিকেটের হাতে। ফলে দীর্ঘদিন অ্যাসোসিয়েশনের কোনো নির্বাচন হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ ছিল অধস্তন আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকরা। অবশেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৎকালীন সরকার ঘনিষ্ঠ যেসব বিচারক দীর্ঘদিন ধরে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবসহ বিভিন্ন পদ দখলে রেখেছিলেন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে পর তারা পদত্যাগ করেন। অবশেষে পরিষ্কার হয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ। এরপর গঠন করা হয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

বিচারকরা বলছেন, এই সংগঠনকে অতীতে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ অধস্তন আদালতের যেসব বিচারক রায় বা আদেশ দিয়ে অন্যায় আচরণের শিকার হয়েছেন তার বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতিও দেয়নি সংগঠনের তৎকালীন নেতারা। ফলে বিচারকদের মনে এক ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে সেই ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম, বিচারক। কমিশনার ছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসরিন জাহান, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান ও নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শানু আকন্দ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদ্রাসার সভাপতিকে বাদ দিতে সুপারের কাণ্ড

বিভাজন না করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়তে হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা

শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ

কাপ্তাই হ্রদ থেকে বালু উত্তোলন, জরিমানা

‘তারেক রহমানই গণঅভ্যুত্থানের মূল নায়ক’

গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে জোর দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

পুলিশের আরও ৫ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ ও ছাত্রত্ব বাতিল

রাষ্ট্র মেরামতের এই সুযোগ কোনোভাবেই মিস করা যাবে না : আইন উপদেষ্টা 

স্বাক্ষরের দিন থেকেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে : এবি পার্টি

১০

আ.লীগ বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : প্রিন্স

১১

সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের উত্তরণকে সংকটে ফেলবে : তারেক রহমান

১২

সাবেক এমপি এনামুল হকের জমিসহ হিসাব ফ্রিজ

১৩

আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া পুলিশ একমত

১৪

ক্লাসে ফিরেছে সেই শিক্ষার্থী

১৫

নানা সংকটেও রাজস্ব প্রবৃদ্ধির ধারায় চট্টগ্রাম বন্দর, আয় বেড়েছে ৮.২২ শতাংশ

১৬

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে থাকা সাবমেরিন কেবল ও ক্লাউড কী অক্ষত?

১৭

৩ উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি সঠিক নয়

১৮

রাউজানের ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই : গিয়াস কাদের

১৯

অবশেষে ৬২ বিষয়ে একমত হলো রাজনৈতিক দলগুলো

২০
X