কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙার আহ্বান রামরু

‘মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে সিন্ডিকেট ক্ষতি মূল্যায়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি : সংগৃহীত
‘মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে সিন্ডিকেট ক্ষতি মূল্যায়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি : সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হলে আর যেন সিন্ডিকেট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু)।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে সিন্ডিকেট ক্ষতি মূল্যায়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান রামরুর নির্বাহী পরিচালক সি আর আবরার।

রামরুর নির্বাহী পরিচালক সি আর আবরার বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, নতুন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের গোষ্ঠী আবারও সিন্ডিকেট করতে তৈরি করতে পারে। ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে আবার যদি মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালু হয় আর যেন সিন্ডিকেট না হয়। এটা দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টর অভিবাসন খাত। এই খাত অতীতে যেভাবে ধুকে ধুকে শেষ হয়ে গেছে আগামী যেন আর আমরা এদিকে না যাই। আপনারা আর এই পথে আগাবেন না। এটা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পুরোনো প্রক্রিয়া চলছে। হোতারা একই রয়েছে কিন্তু অন্যান্য খেলোয়াড়রা বদলেছে, এই দেশে-ওই দেশে। আমরা যদি এই পথে যেতে না চাই তবে কোন পন্থায় যাব, এটা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন তুলতে হবে। যখন চুক্তি হবে কোনো প্রকার গোপনীয়তা থাকা যাবে না। গণতান্ত্রিক উপায়ে উভয়পক্ষ চুক্তি করবে আর জাতিকে সেটা জানাতে হবে। আমরা চাই না, গোপনীয়তার মাধ্যমে কিছু হোক। আমরা স্বচ্ছতা চাই। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেন না কেন সেটা অবশ্যই বায়রাসহ সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে করতে হবে, শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের যুক্ত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে টাকাটা চলে গেছে কত টাকা গেছে, কীভাবে গেছে এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। আমি শুনেছি, টাকা মালয়েশিয়ায় যায়নি, গেছে দুবাই ও সিঙ্গাপুরে। আর্থিক ক্ষতিতে আমরা খুব বিচলিত।

রামরুর নির্বাহী পরিচালক বলেন, নতুন বাংলাদেশে পুরোনো ব্যবস্থা সিন্ডিকেট নির্মূল করতে হবে। আমাদের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে অভিবাসন খাত থেকে। এটাকে ঠিক করতে হলে অতীতের অন্যায় খুঁজে বের করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে বায়রার সদস্যদের বড় রকমের ভূমিকা পালন করতে হবে। এখনই সময় কিন্তু আপনারা যদি সত্যি এই সেক্টরকে গতিশীল করতে যোগ্য নেতৃত্ব চান স্বচ্ছতার মধ্যে আনতে চান। বিএমইটির সঙ্গে বায়রার যে সখ্যতা দেখা যায় মনে হয়, তারা এক পক্ষ আর শ্রমিকরা আরেক পক্ষ। এটা যেন না হয়। যে দোষে দুষ্ট তাকে কেন আপনারা প্রশ্রয় দিচ্ছেন। সেক্টর হিসেবে নিজেদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন স্বচ্ছতার মধ্যে আনতে।

শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে সি আর আবরার বলেন, কর্মীদের ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা চলে গেছে। কিন্তু হওয়ার কথা ৮০ হাজার। কর্মীরা ৮০ হাজারের বেশি প্রমাণ দেখাতে পারবে না। যদি কোনো শ্রমিক ক্ষতিপূরণের যোগ্য তাকে অবশ্যই পাঁচগুণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তার কাগজে কী থাকল না থাকল, সেটা আমরা জানতে চাই না। ভুক্তভোগী যারা রয়েছেন রাষ্ট্রের উচিত সহযোগিতা করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে গ্রামে বসবাস করলেই মিলবে ২৭ লাখ টাকা!

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ

‘শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করবে সরকার’

অসুস্থ বিএনপি নেতা ডা. রফিকের খোঁজ নিতে বাসায় জোনায়েদ সাকি

আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হার

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

১০

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

১১

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

১২

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

১৩

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

১৪

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

১৫

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

১৬

গুম-খুনে জড়িতদের সঙ্গে আপস নেই : আখতার হোসেন

১৭

বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান দুলুর

১৮

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার

১৯

গুম-দুর্নীতি বন্ধে ধানের শীষে ভোট দিন : আশিক

২০
X