শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৩, ০১:০৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বান্দরবানে যে কারণে বৃষ্টির পানি দোতলা পর্যন্ত উঠেছিল

টানা ভারী বর্ষণে বান্দরবান শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ছবি : সংগৃহীত
টানা ভারী বর্ষণে বান্দরবান শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ছবি : সংগৃহীত

গত দুই যুগে বান্দরবান শহরে এত উচ্চতায় পানি উঠতে কেউ দেখেনি। গত ৭ ও ৮ আগস্ট জেলার ‘ম্যাঅকছি ছড়া’ এলাকায় দোতলা ভবনের ছাদ পর্যন্ত পানি উঠেছিল। ডুবে গিয়েছিল জেলার বেশির ভাগ একতলা টিনের বাড়ি। জেলার অনেক এলাকা থেকে এখনও পানি নামেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, গত ৮ আগস্ট বান্দরবান সদরে ১৫ দশমিক ৪৪ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত পানি উঠেছিল। স্বাধীনতার পর এর চেয়ে উঁচুতে পানি উঠেছিল ১৯৯৯ সালের ১২ আগস্ট। তবে সে সময় পানি মাত্র কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। আর এবার দু’দিনের বেশি সময় পানি দোতলা সমান উচ্চতায় স্থির থেকেছে।

গত ৩ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বান্দরবানে ৬৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটি ছিল রেকর্ড। একই সময়ে চট্টগ্রামে বৃষ্টি হয়েছে ৬০০ মিলিমিটার। শহরের বিভিন্ন স্থানে পানিনিষ্কাশনের পথ আটকে রাখা এবং সেতু, বাড়ি ও নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কারণে মূলত বৃষ্টির পানি আটকে ছিল বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবেশ ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতও একই।

সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম বড়ুয়া বলেছেন, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে আগস্ট মাসে সাধারণত বৃষ্টি বেশি হয়। কিন্তু টানা এক সপ্তাহ ধরে এ ধরনের অতি ভারী বৃষ্টি আগে কম হয়েছে। এর আগে ১৯৯৯ সালের ১২ আগস্ট সেখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে সেবারও পানির উচ্চতা বেড়ে গিয়েছিল।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, বান্দরবান শহর ছাড়াও আশপাশের এলাকায় গত এক সপ্তাহ অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ওই পানি নির্দিষ্ট কিছু এলাকা দিয়ে নেমেছে। এর ফলে জেলাটিতে দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকতে পারে।

বান্দরবান শহরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরের ম্যাঅকছি ছড়া ছিল বৃষ্টির পানি নামা এবং ধারণ করার সবচেয়ে বড় জায়গা। গত কয়েক যুগে ছড়াটির বেশির ভাগ জায়গা ভরাট ও দখল হয়েছে। সেখানে অন্তত ছয়টি পাড়া বা আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ওয়াপদা ব্রিজপাড়া, আর্মিপাড়া, হাতিমপাড়া ও কাশেম পাড়ায় কয়েক হাজার পরিবার বাস করে। অথচ ওই জায়গাটি একসময় ছিল জলাভূমি। সেখান দিয়ে বৃষ্টির পানি নেমে যেত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ মিলল পুকুরে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

এশিয়া কাপ দলে জায়গা পেয়ে সোহানের কৃতজ্ঞতার বার্তা

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

১০

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

১১

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

১২

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১৩

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

১৪

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

১৫

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

১৬

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

১৭

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

১৮

এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি-ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৯

জেলের জালে বড় ইলিশ, ৯ হাজারে বিক্রি 

২০
X