দেশের অন্যতম এয়ারলাইন্স সংস্থা ইউএস-বাংলা অতিক্রম করেছে সাফল্যগাঁথা ১১ বছর। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বেসরকারি এ উড়োজাহাজ সংস্থাটি ১২তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ইউএস-বাংলা ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর রুটে প্রথম ফ্লাইট চালানো শুরু করে। গত ১১ বছরে প্রতিষ্ঠানটির বহরে দুটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, খুব শিগগিরই ইউএস-বাংলার বিমান বহরে আরও একটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ এয়ারক্রাফট যোগ হতে যাচ্ছে। এছাড়া ২০২৬ সালের মধ্যে লন্ডন, রোমসহ ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য ও ২০২৮ সালের মধ্যে নিউইয়র্ক ও টরেন্টোতে ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, অভ্যন্তরীণ রুট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহীতে ফ্লাইট চালাচ্ছে ইউএস-বাংলা। ২০১৬ সালের মে মাস থেকে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট চালানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলে এই প্রতিষ্ঠানটি। এখন কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাস্কাট, দোহা, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবী, জেদ্দা, রিয়াদ, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট চালাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এরই মধ্যে যাত্রী সেবায় মিলেছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা স্বীকৃতি।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা যে কোনো ধরনের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। ইউএস-বাংলা যাত্রীদের আরামদায়ক সেবাকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এয়ারক্রাফট বহরে যুক্ত করে চলেছে।’
ইউএস-বাংলা জানায়, দেশ-বিদেশে তাদের ৩ হাজার কর্মী যাত্রী সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। ‘আপনি লাগেজের জন্য অপেক্ষা করবেন না বরং লাগেজ আপনার জন্য অপেক্ষা করবে’- এ স্লোগানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের পর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে লাগেজ ডেলিভারি দিচ্ছে বেসরকারি এই এয়ারলাইন্স। যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কার্গোও পরিবহন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
মন্তব্য করুন