কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আনসারে বিশৃঙ্খলা করলে মৃত্যুদণ্ড : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক। ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক। ছবি : সংগৃহীত

আনসার ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য বিদ্রোহে জড়ালেই সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী, বিদ্রোহী কিংবা বিদ্রোহে প্ররোচনাকারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে। তবে সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ ৫ বছরের কম হবে না। বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে বিচারের পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে দণ্ড কার্যকর হবে। এমন সব বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। নতুন আইন কার্যকর হলে বিদ্যমান ব্যাটালিয়ন আনসার আইন ১৯৯৫ রহিত হয়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব বলেন, বিদ্রোহ সংগঠন বা বিদ্রোহ সংগঠনের প্ররোচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে। আগের আইনে বিদ্রোহের বিষয়টি ছিল না। নতুন আইনে অপরাধ বিচারের জন্য সংক্ষিপ্ত আনসার আদালত এবং বিশেষ ছাড় আদালত নামে দুটি আদালত গঠিত হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদ্রোহ বলতে বোঝাবে, ব্যাটালিয়নের দুই বা ততোধিক সদস্য সম্মিলিতভাবে বাহিনী বা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কর্তৃপক্ষের আইনানুগ আদেশ অমান্য করা বা উক্ত কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা, প্রতিহত করা বা উৎখাত করা অথবা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি তাদের বৈধ বা অবৈধ অসন্তুষ্টি সম্মিলিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকাশ করা বা ওই রূপ কার্যকরণের কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।

আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে, ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য বাহিনীর অভ্যন্তরে অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীতে বিদ্রোহ করলে, বিদ্রোহে প্ররোচনা দিলে কিংবা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ কোনোভাবেই পাঁচ বছরের কম হবে না। অপরাধের বিচার হবে বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে। বিশেষ এবং সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতের যে কোনো দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে বিশেষ এবং আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাবে। আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বাহিনীর মহাপরিচালক বরাবর আপিল করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর গাজীপুরের সফিপুরে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ অসন্তোষ একপর্যায়ে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করে সরকার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় মোট মৃত্যু ৫৮ হাজার ছাড়াল

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরা হলো না ৩ মাদ্রাসাছাত্রের

১৪ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৪ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

গণভবনকে যার সঙ্গে তুলনা করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে কমিশনের নতুন ফর্মুলা

পিএসজিকে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতল চেলসি

লন্ডনে সাউথেন্ড বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বস্ত

১০

দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে

১১

‘হাসিনাকে বাংলার মসনদে ফেরাতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে’

১২

আবু সাঈদ হত্যায় ফরেনসিক বিশ্লেষণে দুটি বিষয় স্পষ্ট : আসিফ নজরুল

১৩

সোহাগকে বাঁচাতে কেন এগিয়ে আসেননি বাহিনীর সদস্যরা, জানালেন আনসারপ্রধান

১৪

অবশেষে আ.লীগের মন্ত্রীর ভাইকে সরানো হলো মুদ্রণ শিল্প সমিতি থেকে

১৫

আগামী ২ দিনের আবহাওয়া নিয়ে নতুন বার্তা

১৬

চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

১৭

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : আমীর খসরু

১৮

ফিল্মি কায়দায় প্রবাসীকে অপহরণ, পুলিশের অভিযানে উদ্ধার

১৯

ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০
X