ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে রাজনৈতিক কারাগার বাস্তিল দুর্গের অবস্থান ছিল। এটা তখনকার রাজতন্ত্রের প্রতীক ছিল। ২৩৬ বছর আগে প্যারিসের জনগণ বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটায়।
বাংলাদেশের মানুষও বছরখানেক আগে গণভবন দখল করেন, যা ঘৃণিত শাসনব্যবস্থার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। যে কারণে এখানকার মানুষ লড়ছে, তার প্রয়োজনীয়তা ফরাসিরা বোঝেন।
রোববার (১৩ জুলাই) ফ্রান্সের জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে দেশটির দূতাবাসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই এসব কথা বলেন।
আগামী ৫ আগস্ট গণভবন পতনের এক বছর হতে যাচ্ছে। এটা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ করার অধিকার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও গণতন্ত্রের কঠিন পথে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। অবশ্যই এর সঙ্গে ন্যায়বিচারও থাকতে হবে।’
বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটে ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই। ফ্রান্সে ১৭৮৯ সাল থেকে গণতন্ত্র সংহত হতে প্রায় ১০০ বছর লেগেছে—এ তথ্য জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের মানুষ আরও দ্রুত গণতন্ত্র অর্জন করবে।
ম্যারি মাসদুপুই বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তাতে অনেক বাধা আসবে। তবে সাহস ও দৃঢ় প্রত্যয় থাকলে বাধাগুলো কাটিয়ে ওঠা যাবে। তবে এই ক্রান্তিকালে ধৈর্যের দরকার হবে।
ম্যারি মাসদুপুই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, রাষ্ট্র ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মন্তব্য করুন