সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আইনে মন্ত্রিসভার সায়

আনসার বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক । ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক । ছবি : সংগৃহীত

আনসার ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য বিদ্রোহে জড়ালেই সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী, বিদ্রোহী কিংবা বিদ্রোহে প্ররোচনাকারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে। তবে সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ ৫ বছরের কম হবে না। বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে বিচারের পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে দণ্ড কার্যকর হবে। এমন সব বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। নতুন আইন কার্যকর হলে বিদ্যমান ব্যাটালিয়ন আনসার আইন ১৯৯৫ রহিত হয়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব বলেন, বিদ্রোহ সংগঠন বা বিদ্রোহ সংগঠনের প্ররোচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে। আগের আইনে বিদ্রোহের বিষয়টি ছিল না। নতুন আইনে অপরাধ বিচারের জন্য সংক্ষিপ্ত আনসার আদালত এবং বিশেষ ছাড় আদালত নামে দুটি আদালত গঠিত হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদ্রোহ বলতে বোঝাবে, ব্যাটালিয়নের দুই বা ততধিক সদস্য সম্মিলিতভাবে বাহিনী বা শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কর্তৃপক্ষের আইনানুগ আদেশ অমান্য করা বা ওই কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা, প্রতিহত করা বা উৎখাত করা অথবা দুই বা ততধিক ব্যক্তি তাদের বৈধ বা অবৈধ অসন্তুষ্টি সম্মিলিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকাশ করা বা ওই রূপ কার্যকরণের কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।

আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে, ব্যাটালিয়নের কোনো সদস্য বাহিনীর অভ্যন্তরে অথবা শৃঙ্খলা বাহিনীতে বিদ্রোহ করলে, বিদ্রোহে প্ররোচনা দিলে কিংবা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ কোনোভাবেই পাঁচ বছরের কম হবে না। অপরাধের বিচার হবে বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে। বিশেষ এবং সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতের যে কোনো দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে বিশেষ এবং আনসার ব্যাটালিয়ন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাবে। আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বাহিনীর মহাপরিচালক বরাবর আপিল করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর গাজীপুরের সফিপুরে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ অসন্তোষ একপর্যায়ে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করে সরকার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোনারগাঁয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

মা ইলিশ রক্ষায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার টহল

ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির মাদকবিরোধী আলোচনা সভা

নিউমার্কেটে চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের বিবৃতি

কক্সবাজার আদালতে বিচারকের মোবাইল-মানিব্যাগ চুরি

পাঠ্যপুস্তক ছাপার দায়িত্ব হস্তান্তর ‘মাথাব্যথায় মাথা কাটার মতো সিদ্ধান্ত’ : টিআইবি

বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

মৌসুমি বায়ুসহ আগামী ৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

১০

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

১১

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

১২

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

১৩

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

১৪

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

১৫

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

১৬

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

১৭

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

১৮

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ৬ হাজারের বেশি মতামত পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১৯

জুলাইয়ের গাদ্দারদের সব রেকর্ড প্রকাশ করা হবে : মুনতাসির

২০
X