কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লাশ পোড়ানো নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য : হেফাজতে ইসলাম

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

রাজবাড়ীতে লাশ পোড়ানোকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।

শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, কাবার আদলে ১২ ফুট উঁচু নুরাল পাগলার মাজার ও বেদী নির্মাণ, নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি ও নিজস্ব কালেমার প্রচলন ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেকদিন ধরে রাজবাড়ীর স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। নুরাল পাগলার পরিবারকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও বিফল হন। এমনকি নুরাল পাগলার এসব অপকর্ম রোধে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তারা বৈঠক করে স্মারকলিপি দেন এবং প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলনও করেন। এতে তাদের ধৈর্যের পরিচয় পাওয়া গেলেও প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা নুরাল পাগলার কথিত কাবার আদলে তৈরি কবর ভেঙে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেয়।

তারা বলেন, ইসলামে লাশ পোড়ানো নিষিদ্ধ। এটি মানবিক মর্যাদার প্রশ্ন। ইসলাম-প্রদত্ত এই মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। ফলে নুরাল পাগলার লাশ পোড়ানো নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য কাজ। একটি অন্যায় রোধ করতে গিয়ে আরেকটি অন্যায় করার সুযোগ নেই। তবে আমরা মনে করি, রাজবাড়ীতে স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার দল-মত নির্বিশেষে ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রশাসন নুরাল পাগলার ব্যাপারে যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি বলেই এমন সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হতে পেরেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষার ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসন প্রায়ই করিৎকর্মার পরিচয় দেয়। বাম ও প্রগতিশীল ঘরানাও খুবই সরব থাকে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এলে তাদের সবসময় নিষ্ক্রিয় ও নীরব দেখা যায়। এই বৈষম্য ইসলামবিদ্বেষপ্রসূত বলে আমরা মনে করি। এমনকি একশ্রেণির বাম ও প্রগতিশীলদের নৈতিক সমর্থনের কারণে তাদের ঘরানার কেউ কেউ বিভিন্ন সময় আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর নামে কটূক্তি ও বিষোদ্গার করার দুঃসাহসও দেখিয়েছে। কিন্তু শত প্রতিবাদেও তাদের কোনো বিচার হয়নি। এই দীর্ঘ অবিচারের সংকট নিরসনে সরকার এবং একইসঙ্গে বাম-প্রগতিশীল ঘরানার মুরুব্বিদেরও এগিয়ে আসতে হবে। দায়িত্ব শুধু আলেমদেরই নয়, তাদেরও রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিসিসিআই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

দু-একটি দল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে : আমিনুল হক 

মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির নিন্দা

ঝটিকা মিছিল : আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের জন্য নতুন নীতিমালা

আঙুলে নতুন আংটি, ফের চর্চায় রাশমিকা-বিজয়

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

অজান্তেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন কি না বুঝে নিন ৬ লক্ষণ

নিজের জন্য কবর খনন ব্যবসায়ীর

‘ওরা দেশে ফিরলে ঠিকানা হবে কেরানীগঞ্জ কারাগার’

১০

২৬ লাখ টাকা খরচ করে করলেন আত্মহত্যার আয়োজন

১১

ডিভিডেন্ড ও বোনাস নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি গভর্নরের

১২

জরিপে উঠে এলো ডাকসু নির্বাচনে কার কত শতাংশ ভোট

১৩

এবার শিবির জিতলে দুই ক্যান্টিনে বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার ঘোষণা বনি আমিনের

১৪

মাজার ভাঙা নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ফজলুর রহমান

১৫

এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৬

নাকে আঙুল দেওয়ার অভ্যাস আছে? যে বিপদের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা

১৭

লন্ডনে বিবিসিসিআইর সংবর্ধনা

১৮

সাংবাদিক বুলুর মৃত্যুর ঘটনায় অধিকতর তদন্তের দাবি

১৯

ভক্তদের কাছে সালমান শাহ আজও বিস্ময়, রহস্যঘেরা তারকা : অপূর্ব

২০
X