

দেশে বর্তমানে দ্রুত নগরায়ণের ফলে ভবন নির্মাণের সংখ্যা বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে অনিরাপদ ও ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যাও। এই বাস্তবতায়, ফ্রিহোল্ড কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এফসিডি) আয়োজন করেছে একটি সচেতনতামূলক সেমিনার—‘স্ট্রং ফাউন্ডেশনস, স্ট্রং কানেকশনস’।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন দেশের ৫০ জন শীর্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট এবং ৫০টি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও ফ্রিহোল্ড কনস্ট্রাকশনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আহসানুল কবির। কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশের অন্যতম ভূমিকম্প ও ফাউন্ডেশন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম।
প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটির ধরন ও ভূমিকম্প ঝুঁকি বিবেচনায় ভবন ডিজাইন ও ফাউন্ডেশন কনস্ট্রাকশনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের দাবি। সঠিক ডিজাইন অনুসরণ করলে ভবনগুলো আরও নিরাপদ ও টেকসই হবে।’
তিনি জানান, তার অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম Qlearn-এর মাধ্যমে দেশে হাজারো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, যা নির্মাণ খাতে মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আহসানুল কবির বলেন, ‘একজন প্রকৌশলী যদি দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেন, তবে তিনি শুধু একটি ভবন নয়—একটি জীবনরক্ষাকারী কাঠামো তৈরি করেন।’
এসময় নিরাপদ ও অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর ফাউন্ডেশন ডিজাইন করার জন্য প্রকৌশলীদের আরও গবেষণামূলক চিন্তাভাবনার আহ্বান জানান আহসানুল কবির।
ফ্রিহোল্ড কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মাটির ধরন অনুযায়ী ভূমিকম্প-রোধী এবং ইকোনমিক ফাউন্ডেশন সল্যুশন নিয়ে কাজ করছে। Pile Base Grouting প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে সাফল্যের দেখা পেয়েছে।
সেমিনারে উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ার ও রিয়েল এস্টেট প্রতিনিধিরা বলেন, আজকের এই আয়োজন তাদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। এতে তারা ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণে বাস্তবিক ধারণা পেয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা এই সেমিনার শেষে ফ্রিহোল্ড কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পক্ষ থেকে অতিথিদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মন্তব্য করুন