মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার মিয়ান আরেফীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড মঞ্জুরের চার দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিতে পারেনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মিয়ান আরেফী বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন। তবে, একই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। রোববার (৫ নভেম্বর) তার আট দিনের রিমান্ডের চতুর্থ দিন চলছে।
মিয়ান আরেফীর মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবির মতিঝিল বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পরই গত বৃহস্পতিবার ডিবির কর্মকর্তারা মিয়ান আরেফীকে আনতে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাকে ডিবির কাছে দেয়নি। গতকাল শনিবার ডিবি কর্মকর্তারা মিয়ান আরেফীকে আনতে আবার কারাগারে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন। সেদিনও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ডিবি কর্মকর্তাদের কাছে দেয়নি।
মিয়ান আরেফীকে ডিবি হেফাজতে না দেওয়ার কারণ জানাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার দাস দাবি করেন, ‘ডিবির কোনো কর্মকর্তা মিয়ান আরেফীকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যেতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তা ছাড়া মিয়ান আরেফী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসার পরদিন গত শুক্রবার তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. রাজীব আল মাসুদ বলেন, ‘ডিবি কর্মকর্তারা মিয়া আরেফীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রিমান্ডে নিতে গিয়েছিল। কিন্তু রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার আদালতের আদেশনামা সেখানে পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় তাকে সেদিন ডিবি কার্যালয়ে আনা যায়নি। তা ছাড়া মিয়ান আরেফীর রিমান্ড মঞ্জুর তো হয়েছেই। যখন দরকার, তখনই কারাগার থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।’
মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলায় মিয়ান আরেফীসহ অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের পরদিন রোববার বিমানবন্দর থেকে মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
মন্তব্য করুন