জাতীয় রাজনীতির প্রভাব বিশ্লেষণের মাধ্যমে গণহত্যা/নৃশংসতার সত্য অনুসন্ধান করা। গণহত্যার স্বীকৃতি এবং ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার প্রতি জোর দেওয়া হয়। সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাদুঘর মিলনায়তনে ‘গণহত্যা অস্বীকারের রাজনীতি : সত্য, স্বীকৃতি এবং ন্যায়বিচারের দিকে বিশ্ব সংগ্রাম’ শীর্ষক অষ্টম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন হবে।
স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও পরিচালক মফিদুল হক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিসসের ওপর আলোচনা করেন।
কিনোট পেপার উপস্থাপন করেন ইতালির পার্লামেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) সেক্রেটারি জেনারেল ড. জিয়ান্নি তোগনোনি। এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন ইউএসএ জেনোসাইড ওয়াচের প্রেসিডেন্ট ড. গ্রেগরি এইচ স্ট্যান্টন, কম্বোডিয়া/অস্ট্রেলিয়ার মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড এশিয়া প্যাসিফিকের রিজিওনাল রেজিস্টার ডা. হেলেন জার্ভিস এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ইসরাত চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
ডা. হেলেন জার্ভিস গণহত্যার তথ্য জনগণের মাঝে তুলে ধরার জন্য কম্বোডিয়া জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন। ড. জিয়ান্নি তোগনোনি বলেন, রেফারেন্স পদ্ধতি এবং অপারেশনাল নিয়মাবলির মধ্য দিয়ে সময়োপযোগী বিচার কার্যকর ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা যেতে পারে। আর ড. ইসরাত চৌধুরী গাজায় গণহত্যায় শহীদদের কথা তুলে ধরেন।
আসাদুজ্জামান নূর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিচারণ করেন। তিনি ভারতের গিয়ে কীভাবে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তা তুলে ধরেন। এ সময় গণহত্যার শিকার শহীদদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ভারত, ইতালি, পোল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিদ, গবেষক, আইনবিদ, অ্যাক্টিভিস্ট, শিল্পী এবং জাতীয়-আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের সাথে যুক্ত ৫০ বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এ ছাড়াও প্রদর্শনী হয় নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, জাতিসংঘ সদর দপ্তর, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের বধ্যভূমি, একাত্তরের বিজয় ইত্যাদি পোস্টার। ব্রতচারী নৃত্য পরিবেশন করেন তক্ষশীলার পল্লীবাংলার ব্রতচারী সংঘের নৃত্যশিল্পীরা। এরপর ভারতের কৃষ্ণেন্দু বোসের বে অব ব্লাড সিনেমা প্রদশিত হয়।
মন্তব্য করুন